তিন বছর পর ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব–১৯ সাফের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী ফুটবল দল। তিন বছর আগে আনাই মগিনির গোলে ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। সেবারের মতো এবারও ঢাকায় হবে অনূর্ধ্ব–১৯ নারী সাফ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। চার দলের এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, নেপাল আর ভুটান।
অনূর্ধ্ব–১৯ দলেরও দায়িত্ব পালন করছেন নারী জাতীয় দলের কোচ সাইফুল বারী। শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে তাঁর ভাবনা অবশ্য একটু ভিন্ন। ঢালাওভাবে তিনি আশাবাদটা জানালেন না। তাঁর মতে, খেলোয়াড়দের পরিপক্বতাই এবারের টুর্নামেন্টে পার্থক্যটা গড়ে দেবে। বাফুফে ভবনে আজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমার এই দলের খেলোয়াড়দের বয়স কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্রতা অনেক বেশি। ব্যক্তিগত স্কিলও ভালো। কিন্তু পরিপক্বতাটা হয়তো একটু কম আমাদের লক্ষ্য পারফরম্যান্সে পরিপক্বতা দেখানো। এটাই ধরে রাখতে হবে। যে দল মাঠে এই ব্যাপারটি বেশি দেখাতে পারবে, শিরোপা জিতবে তারাই।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলে জাতীয় দলের পাঁচজন ফুটবলার আছেন—অধিনায়ক আফঈদা আক্তার ও সহ–অধিনায়ক স্বপ্না রানী দুজনই জাতীয় দলের। এর পাশাপাশি আছেন স্বর্ণা রানী মণ্ডল, ইতি খাতুন ও সুরমা জান্নাত। এই দলে নিয়মিত অনূর্ধ্ব–১৯ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিকেএসপির তিন নারী ফুটবলারও—বন্যা খাতুন, লুৎফা আক্তার লিমা ও নবীরণ খাতুন। মেরি আইরিশ প্রভেন্স ত্রিপুরা নরভে নামটি আগ্রহও ছড়াল সংবাদ সম্মেলনে। কোচ সাইফুল বারী জানালেন, ‘মানিকছড়ির মেরি নিজের প্রতিভা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছে। আমাদের কাছে ওকে সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে।’
অনূর্ধ্ব–১৭ নারী দলের ১৪ জন খেলোয়াড় এই দলে আছেন। যদিও গত সেপ্টেম্বরে ভিয়েতনামে এএফসি অনূর্ধ্ব–১৭ এশিয়ান কাপের দ্বিতীয় পর্বে এই দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ম্যাচেই হেরেছিলেন মেয়েরা। যদিও প্রথম পর্বে তুর্কমেনিস্তানকে ৬–০ আর সিঙ্গাপুরকে ৩–০ গোলে উড়িয়েই দ্বিতীয় পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলেন মেয়েরা। এবার অনূর্ধ্ব–১৯ দলের হয়ে দেশকে ভালো কিছুই উপহার দিতে চান তাঁরা। অধিনায়ক আফঈদার কথা, ‘প্রথম ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২ তারিখ নেপালের সঙ্গে প্রথম ম্যাচটা জিততে চাই। ওটা জিতে এগিয়ে থাকতে চাই।’
চার দলের এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে লিগ পদ্ধতিতে। শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনালে। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে ফাইনাল। ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ৪ ফেব্রুয়ারি। ভুটানের বিপক্ষে রবিন লিগের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলবে ৬ ফেব্রুয়ারি।