ভবিষ্যৎ তারকা কিংবা সময়ের সেরা উদীয়মান ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে আলেহান্দ্রো গারনাচো ওপরের দিকেই থাকবেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আদর্শ মেনে বড় হওয়া এই আর্জেন্টাইন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। কিন্তু মার্চে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে প্রায় দুই মাসের জন্য ছিটকে গেছেন। মিস করেছেন ইউনাইটেডের সর্বশেষ ১১টি ম্যাচ।
তবে মাঠের বাইরে সময়টা দারুণ কাটছে গারনাচোর। পাঁচ দিন আগেই ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বেতনটাও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তিন দিন আগে আরও বড় সুখবর দিয়েছেন। ১৮ বছর বয়সেই পুত্রসন্তানের বাবা হতে চলেছেন।
সেরে ওঠার পথে থাকা গারনাচো ইদানীং সাক্ষাৎকারও দিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি নিজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টেলিভিশনকে (এমইউটিভি) সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তরুণ উইঙ্গার। সেখানে চুক্তি নবায়ন, বর্তমান মৌসুম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে যেমন কথা বলেছেন, ক্লাব সতীর্থদের নিয়েও নিজের ধারণাগুলো তুলে ধরেছেন।
এ মুহূর্তে ইউনাইটেডের স্কোয়াড ৩১ জনের। খেলোয়াড়দের মধ্যে শুধু দুজন আর্জেন্টাইন—গারনাচো আর লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। গারনাচোর মতো চোটে পড়েছেন মার্তিনেজও। কয়েক দিনের মধ্যে গারনাচোর মাঠে ফেরার কথা থাকলেও পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়া মার্তিনেজের মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে।
আর্জেন্টিনার হয়ে কাতার বিশ্বকাপজয়ী মার্তিনেজ গারনাচোকে ছেলের চোখে দেখেন বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন গারনাচো, ‘যেদিন প্রথম ড্রেসিংরুমে গেলাম, সেদিন থেকেই সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। আমি দলের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য। লিসান্দ্রো মার্তিনেজ তো আমার সঙ্গে বাবার মতোই আচরণ করেন। তিনি আমার সঙ্গে সব ধরনের বিষয় শেয়ার করেন। আমি ভালো করলে প্রশংসা করেন। যেকোনো ব্যাপারে আমাকে সব সময় সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন।’
সাক্ষাৎকারে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও দাভিদ দে হেয়ারও প্রশংসা করেছেন মার্তিনেজ, ‘ব্রুনো আমার খুব কাছের মানুষ। তিনি যেভাবে পারেন, আমাকে সহযোগিতা করেন। দে হেয়ার মতো ভালো বন্ধুও পেয়েছি। আমাদের ভাষা একই (স্প্যানিশ)। আমরা একসঙ্গে থাকতে পছন্দ করি।’