আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান দি মারিয়া
বিশ্বকাপ শেষেই জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছার কথা গত জুন মাসে জানিয়েছিলেন আনহেল দি মারিয়া। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’কে দি মারিয়ার এক আত্মীয় জানান, কাতারে বিশ্বকাপ ফাইনালের রাতে তাঁর কান্নার অন্যতম একটি কারণ এটাও ছিল।
জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে আর খেলতে পারবেন না! বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও তাই কেঁদেছিলেন দি মারিয়া। তবে ৩৪ বছর বয়সী এ উইঙ্গার তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’।
লিওনেল মেসির পথেই হাঁটবেন তিনি। মেসি যেমন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে আরও কিছুদিন খেলতে চান, দি মারিয়াও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে চান জাতীয় দলে।
টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদক গাস্তন এদুল জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলা চালিয়ে যেতে চান দি মারিয়া। প্রীতি ম্যাচ, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এমনকি ২০২৪ কোপা আমেরিকার জন্যও তাঁকে পাওয়া যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে জুভেন্টাস তারকার কোনো মন্তব্য প্রকাশ করেনি তারা।
মেসি এর আগে জানিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার হয়ে তিন তারকা খচিত জার্সি পরে খেলতে চান আরও কিছুদিন। যে দল যতবার বিশ্বকাপ জিতেছে, তাদের জার্সিতে ততগুলো তারকা থাকে।
আগামী বছর ২০ থেকে ২৮ মার্চের মধ্যে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সেটি প্রীতি ম্যাচ কিংবা বাছাইপর্বের ম্যাচও হতে পারে। তখন প্রথমবারের মতো তিন তারকার জার্সি পরে মাঠে নামবেন দলটির খেলোয়াড়েরা। মেসির মতো দি মারিয়াও জার্সিটি পরে খেলতে চান।
গাস্তন এদুল টুইটে জানান, ‘আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন আনহেল দি মারিয়া। কত দিন পর্যন্ত খেলবেন, তা নিশ্চিত নয়। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলাটা উপভোগ করতে চান তিনি।’
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণদের সুযোগ করে দিতে বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন দি মারিয়া। কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে দারুণভাবে ক্যারিয়ার শেষের সুযোগও পেয়েছেন তিনি।
কিন্তু বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স দি মারিয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ফাইনালে গোলও পেয়েছেন। তাই আরও কিছুদিন খেলতে চান। মেসি অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন না। কাতারেই শেষ বিশ্বকাপটি খেলে ফেলেছেন। দি মারিয়াও সম্ভবত অত দিন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না। তবে ভক্তরা তাঁকে ২০২৪ কোপা আমেরিকায় দেখলে হয়তো খুশিই হবেন।