এক দলে খেলছেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো বিশ্বসেরা খেলোয়াড়েরা। দুই মহাতারকার দ্যুতিতে একটু ম্লান হলেও তাঁদের সতীর্থদের তারকামূল্যও কম নয়। পিএসজির একাদশে অভাব ছিল শুধু নেইমার নামের একজনের।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষ লিওঁর একাদশে তারকা বলতে নিকলাস তালিয়াফিকো, আলেক্সান্দ্র লাকাজেত, দেয়ান লোভরেনরা। তবে পিএসজির ঘরের মাঠে শেষ পর্যন্ত জিতেছে লাকাজেত–তালিয়াফিকোরাই। বদলি খেলোয়াড় ব্র্যাডলি বারকোলার একমাত্র গোলে মেসি–এমবাপ্পেদের হারিয়ে লিওঁ।
ঘরের মাঠে হারের ধারাবাহিকতাই ধরে রাখল পিএসজি। আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে রেনের কাছে ০–২ গোলে হেরেছিল পিএসজি। বিরতি শেষে ফিরে আবারও ঘরের মাঠে হার জুটল ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দলের। অন্যদিকে লিওঁর কোচ হিসেবে প্রথমবার পার্ক দে প্রিন্সেসে এসেই পুরোনো দলের বিপক্ষে জয় উপহার পেলেন লরাঁ ব্লাঁ।
এই হারের পরও অবশ্য ফ্রেঞ্চ লিগ আঁর শীর্ষেই আছে পিএসজি। ২৯ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট প্যারিসের দলটির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাঁসের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে পিএসজি। অন্যদিকে অঘটন ঘটিয়ে পয়েন্ট তালিকায় নয়ে উঠে এসেছে অলিম্পিক লিওঁ। ২৯ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট দলটির।
৫৬ মিনিটে লিওঁ গোলটি পেয়ে যায় দারুণ এক আক্রমন থেকে। থিয়াগো মেন্দেস ডান পাশ থেকে এগিয়ে যাওয়া সায়েল কুমবেদিকে ক্রস দিয়েছিলেন। কুমবেদি বলটাকে আবার ঠেলে দেন বাঁ পাশে। বদলি ফরোয়ার্ড ব্র্যাডলি বারকোলা দোন্নারুম্মাকে উল্টো পাশে ছিটকে ফেলে জালে জড়ান বল।
১১ মিনিট পর আবারও দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আমিন সারের বদলি হিসেবে ২৪ মিনিটেই মাঠে নামা বারকোলা। তবে এবার ২০ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ডকে গোল পেতে দেননি দোন্নারুম্মা।
ম্যাচের শেষ দিকে পিএসজি চেষ্টা করেও গোল পায়নি। মৌসুমে পঞ্চম ও টানা দ্বিতীয় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো দলটিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে লিওঁ বেশি গোলের সুযোগ পেলেও প্রথমার্ধে দুদলই সমান তালে খেলেছে।
ম্যাচটা যে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দলের সঙ্গে ১০ নম্বর দলের সেটি প্রথমার্ধের খেলা দেখে বোঝার উপায় ছিল না। গোলের সুযোগ যেমন তৈরি করেছে, তেমনি নষ্টও করেছে দুদল।
সবচেয়ে সহজ সুযোগটা তো হারিয়েছে লিওঁ। আলেক্সান্দ্র লাকাজেতকে ফেলে দিয়ে লিওঁকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি লাকাজেত। তাঁর শট পোস্টে লেগে চলে যায় নিকলাস তালিয়াফিকোর পায়ে। বার উচিয়ে মেরে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী লেফট ব্যাকও।
৩৯তম মিনিটের এই নাটকের পর লিওঁকে একটু চেপে ধরেছিল পিএসজি। ৪৫ মিনিটে রেনাতো সানচেসের ২৫ গজি শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন লিওঁ গোলরক্ষক আন্তনি লোপেস। এরপর যোগ করা সময়ে ছয় গজি বৃত্তে দেয়ান লোভরেনের হাতে বল লাগলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি পিএসজিকে।