রোনালদোর ক্লাব আল নাসরের ১৭২৭ কোটি টাকার প্রস্তাবে ‘না’ জিদানের
রুডি গার্সিয়া আল নাসর কোচের চাকরি ছাড়ার আগে গুঞ্জনটি তৈরি হয়েছিল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ গত এপ্রিলে জানিয়েছিল, রুডি গার্সিয়ার জায়গায় জিনেদিন জিদানকে আনতে চায় সৌদি আরবের ক্লাবটি। এবার জানা গেল, সত্যিই জিদানকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আল নাসর। ফরাসি কিংবদন্তি তাতে রাজি হননি।
দলবদল নিয়ে নির্ভরযোগ্য ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘ফুট মেরকাতো’ কাল খবরটি প্রকাশ করেছে। দুই বছর আগে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকেই ডাগআউটে দেখা যাচ্ছে না জিদানকে। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিল জিদানকে কোচ বানাতে চায় পিএসজি। আর কিংবদন্তি নিজে চান ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হতে। কিন্তু দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পর জিদানকে ফ্রান্স কোচ হওয়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়।
জুভেন্টাসও নাকি তাঁর প্রতি আগ্রহী। মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রিকে বাদ দিয়ে নিজেদের সাবেক খেলোয়াড়কে ডাগআউটে নিয়ে এসে ইতালিয়ান ক্লাবটি নাকি নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চায়। এর মধ্যেই জিদানের দিকে দৃষ্টি দেয় আল নাসর।
ফুট মেরকাতোয় সান্তি আওনার লেখা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্রান্সকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতানো জিদানকে ২ বছরে ১৫ কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা) পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আল নাসর। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাবের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো জিদান ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের যেকোনো বড় একটি ক্লাবের দায়িত্ব নিতে চান, এমনটাই লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
জিদান বিষয়ে ভিন্ন একটি খবর দিয়েছে ফ্রান্সের অনলাইন পোর্টাল ‘গেট ফ্রেঞ্চ ফুটবল নিউজ’। সূত্র মারফত তারা জানিয়েছে, পিএসজি এখনো জিদানের প্রতি আগ্রহী। পরবর্তী কোচ হিসেবে তাদের পছন্দের তালিকায় জিদান নাকি শীর্ষে। ক্রিস্তফ গালতিয়েরের জায়গায় তাঁকে নিয়ে আসতে চায় ফরাসি ক্লাবটি।
২০২১ সালের ২২ মে রিয়ালের কোচ হিসেবে নিজের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন জিদান। এর পর থেকেই বেকার বসে আছেন রিয়াল কিংবদন্তি। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘আরএমসি স্পোর্ট’–এর সঞ্চালক এবং পিএসজির সাবেক খেলোয়াড় জেরোম রথেন মনে করেন, জিদানের মতো কোচের মাঠের বাইরে থাকা উচিত নয়। গত বৃহস্পতিবার তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিদানের জাতীয় দল সতীর্থ ও ’৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিস্তোফ দুগারে। জিদানের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
দুগারে মনে করেন, জিদান বুঝেশুনেই ডাগআউটে ফিরতে সময় নিচ্ছেন। মনের মতো একটা ক্রীড়া-প্রকল্প পাওয়ার অপেক্ষায় তিনি। দুগারের যুক্তি, ‘একজন কোচের কাছে কোচিং কোনো বিষয় নয়। তার সেই ইচ্ছাটা আছে এবং সেটা প্রকাশও করেছে। কিন্তু সে যেকোনো প্রস্তাব লুফে নেবে কেন?’
দুগারে ব্যাখ্যা করেন, ‘কোচ হিসেবে তার সাফল্য আছে। প্রায় প্রতিটি ধাপেই সে দারুণভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু সে এমন কোনো ক্লাবে যোগ দিয়ে হারিয়ে যেতে পারে না, যে ক্লাবের প্রতি তার কোনো আগ্রহ নেই। যেখানে সে তার ফুটবল নিয়ে জ্ঞান বিলিয়ে দিতে পারবে না, ভালোবাসা জন্মাবে না, সেখানে সে যাবে কেন?’