স্পেন ৪ : ১ জর্জিয়া
প্রতিপক্ষ তিনবারের ইউরো এবং একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এবারের ইউরোতেও শিরোপার বড় দাবিদার। দলটার নাম স্পেন।
সেই প্রতিপক্ষের সামনে এই ম্যাচে খুব একটা পাত্তা পাওয়ার কথা না প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে আসা জর্জিয়ার। হ্যাঁ, প্রথমবার খেলতে এসেই শেষ ষোলোতে উঠে যাওয়া একটা বড় চমক। কিন্তু জর্জিয়ার পথচলা আসলে এখানে থামারই কথা, থামলও। দুর্দান্ত খেলেই স্পেন ম্যাচ জিতে নিল ৪-১ গোলে, ওঠে গেল ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে বিদায় নেওয়ার আগে জর্জিয়াও উপহার দিয়ে গেল মুগ্ধ হওয়ার মতো কিছু মুহূর্ত।
চিরাচরিত টিকি-টাকা থেকে সরে গিয়ে এবার ইউরোতে স্পেন খেলছে গতিময় দৃষ্টিনন্দন ফুটবল। মুগ্ধ করে যাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের। সেই মুগ্ধতা থাকল জর্জিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও। যদিও কোলনে আজ প্রথম গোলটা স্পেনই খেয়েছে এবং সেটা কিছুটা খেলার বিপরীত স্রোতেই। ১৮ মিনিটে রবিন লে নরমান্দের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর একে একে স্পেনের হয়ে চারটি গোল করেছেন রদ্রি, ফাবিয়ান রুইস, নিকো উইলিয়ামস ও দানি ওলমো।
আগামী ৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন খেলবে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে।
গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে ব্যস্ত গোলকিপার ছিলেন জর্জিয়ার জর্জি মামারদাশভিলি। তাঁর সেই ব্যস্ততা থাকল এই ম্যাচেও এবং একেবারে শুরু থেকেই। ১০ মিনিটের মধ্যেই পেদ্রি ও দানি কারভাহালকে তিনি হতাশ করেন দারুণ দুটি সেভ করে।
এর কিছুক্ষণ পরেই খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে গোল খেয়ে যায় স্পেন। ১৮ মিনিটে জর্জিয়ার কাকাবাদজের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন রবিন লে নরমান্দ।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে কোনো গোল না খাওয়া স্পেনের নকআউট পর্বে শুরুটা হলো আত্মঘাতী গোল খেয়ে। তবে ওই গোলটাই, এর পরে আর জর্জিয়াকে খুব একটা সুযোগ দেয়নি স্পেন। উইলিয়ামসের কাটব্যাক থেকে রদ্রি সমতা ফেরান ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। ৫১ মিনিটে ইয়ামালের ক্রস থেকে স্পেনকে এগিয়ে দেওয়া গোলটা করেন রুইস। ৭৫ মিনিটে স্পেনের এর পরের গোলটার পাস বাড়িয়েছেন রুইস নিজেই, এবার গোলদাতা উইলিয়ামস। আর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মিকেল ওইয়ারসাবালের পাস থেকে ৪-১ করেন দানি ওলমো।
ইউরোতে জর্জিয়ার গল্পটাও শেষ হয়ে যায় সেখানেই।