জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন মৌসুম শুরু করলেও কিছুটা অস্বস্তি কি থাকবে না এরিক টেন হাগের?
ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ দিকে এলোমেলো হয়ে পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রক্ষণ। পেনাল্টির দাবিও উঠেছিল। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ইউনাইটেডের পক্ষে রায় দিলেও তা নিয়ে বিতর্ক হবে সন্দেহ নেই। টেন হাগের স্বস্তি বলতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে উলভারহ্যাম্পটনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম জয়ে শুরু করতে পেরেছেন।
অ্যান্টনি, মার্কাস রাশফোর্ড, আলেহান্দ্রো গারনাচোরা থাকলেও ইউনাইটেডের গোলটি এনে দিয়েছেন এক অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। রাফায়েল ভারান। ৭৬ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ থেকে ওয়ান বিসাকার পাস উলভসের পোস্টের সামনে প্রায় মাথার ওপর পেয়ে যান ভারান। উলভস গোলকিপার হোসে সা তখন ডান দিকে ঝুঁকে গেছেন। প্রায় ফাঁকা পোস্টে ২০২২ সালের মে মাসের পর নিজের প্রথম গোলটি হেডে আদায় করে নেন ভারান।
উলভস তার আগে কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েছে। ৫০ মিনিটে বল ইউনাইটেডের পোস্টে মারেন উলভস ফরোয়ার্ড ম্যাথুস কুনহা। ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষিক্ত গোলকিপার আন্দ্রে ওনানাকে পোস্টের এক পাশে পেয়ে গিয়েছিলেন কুনহা। কিন্তু সাইড ফুট শট পোস্টে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিলিয়ান। প্রথমার্ধের শেষ কয়েক মিনিটে ইউনাইটেডের পোস্টের আশপাশ দিয়ে কয়েকটি শট নিয়েছে উলভস। প্রথমার্ধে ৬০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেও উলভসের পোষ্টে মাত্র ১টি শট রাখতে পেরেছে ইউনাইটেড। উলভসের বক্সে বলে ‘টাচ’ মাত্র ১৬বার।
হুলেন লোপেতেগি গত সপ্তাহে কোচের দায়িত্ব ছাড়লেও অন্তবর্তী দায়িত্ব পাওয়া গ্যারি ও’নেইলের অধীনে ভালোই আক্রমণাত্ক খেলেছে উভস। পরিসংখ্যান বলছেম পুরো ম্যাচে ইউনাইটেডের পোস্টে মাত্র ৬টি শট রাখতে পারলেও গোলের প্রচেষ্টা ছিল ২৬বার। ইউনাইটেড সে তুলনায় ১৫বারের চেষ্টায় ৩টি শট পোস্টে রাখতে পেরেছে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ‘অ্যাওয়ে ম্যাচে’ ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে প্রতিপক্ষের দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শট (২৩) নেওয়ার নজিরও গড়েছে উলভস। তাতে ইউনাইটেড গোলকিপার ওনানাকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে। উলভসের ফাবিও সিলভার দুটি ভালো গোলের চেষ্টা রুখে দেন ওনানা।
যোগ করা সময়ের ৬ মিনিটে কার্ড দেখার হাত থেকে বেঁচে যান ওনানা। ক্রসের জন্য বক্সে ঢুকেছিলেন উলভসের কালাদিচ। তাঁকে থামাতে গিয়ে বল আর ধরতে পারেননি ওনানা। কালাদিচকে ফেলে দেন। উলভসের খেলোয়াড়েরা পেনাল্টির আবেদন জানিয়েছে। কোচ গ্যারি ও’নেইলও পেনাল্টির দাবি জানাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন। কিন্তু ভিএআর পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেয়। বিবিসির ধারাভাষ্যে বলা হয়েছে, ‘সিদ্ধান্তটি নিয়ে বিতর্ক হবে।’