জন্ম শহরে যেভাবে বরণ করা হলো মেসিকে
একেই বুঝি বলে স্বপ্নপূরণ! দেড় দশক ধরে যে শিরোপাটির খুঁজে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন, সেটিই এখন লিওনেল মেসির হাতের মুঠোয়। কদিন আগেও যে মুকুটটি জিততে না পারাকে মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ বলে মনে হচ্ছিল, সেই মুকুটটি এখন মেসির মাথায়। রোজারিওর ছোট্ট জাদুকর যে এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
নিজ ভূমিতে মেসিকে বরণও করা হয়েছে তাই রাজার বেশে। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে বুয়েনস এইরেসে পৌঁছাতেই মানব ঢল নামে চ্যাম্পিয়নদের এক পলক দেখতে। এর মধ্য দিয়ে আর্জেন্টাইনদের ৩৬ বছরের শিরোপা তৃষ্ণাও মিটেছে আর্জেন্টাইনদের। মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে অংশ নিতে প্রায় ৫০ লাখ জনতার ঢল নেমেছে বুয়েনস এইরেসের রাস্তায়।
বুয়েনস এইরেসের শিরোপা উৎসব শেষে মেসি চলে যান জন্মস্থান রোজারিওতে। বাকি সতীর্থদের বিদায় জানালেও এ সময় মেসির সঙ্গে ছিলেন রোজারিওর আরেক উজ্জ্বল মুখ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা আনহেল দি মারিয়াও।
জন্ম শহরেও উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকাকে। রোজারিওতে মেসি-মারিয়ার সঙ্গে দেখা যায় একই শহর থেকে ওঠে আসা সাবেক ফুটবলার ও কোচ কিলি গনসালেসকেও। তাঁরা একসঙ্গে ছবিও তুলেন।
১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম শিরোপা ঘরে নিতে পেরেছে আর্জেন্টাইনরা। আর্জেন্টাইনদের এমন অপার্থিব মুহূর্ত উপহার দেওয়ার নায়ক মেসি। রোজারিওর জনতার যেন তাই মেসিকে পাওয়ার মুহূর্তটা একটু অন্য রকমই ছিল।
মেসিকে বরণ করতে আসা জনতার মুখেও তখন শোনা যায় ‘ওলে, ওলে, লিও লিও’ স্লোগান। নিজ এলাকার মানুষের ইচ্ছাপূরণে মেসিকে তখন তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। ঘরে পৌঁছানো পর্যন্ত রোজারিওর উন্মাতাল জনতা সঙ্গ দিয়ে যায় এই মহাতারকাকে।
নিরাপত্তারক্ষীরা অবশ্য পুরো সময় মেসি-মারিয়াকে ঘিরে রাখলেও উৎসবমুখর মানুষদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি তাঁরা। কেউ কেউ তখন ‘এগিয়ে যাও চ্যাম্পিয়ন’ ধ্বনিতে পুরো এলাকা মুখর করে তুলেন।