শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দুই দলের। এএফসি কাপে আজ কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের ম্যাচ রোমাঞ্চ ছড়াল ভালোই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের লড়াই উপভোগ্য হলো কিংস অ্যারেনার দর্শকদের জন্য।
প্রথমার্ধে ৪৫ মিনিটের লড়াই শেষে ম্যাচ অমীমাংসিত ১-১ গোলে। ১৭ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে, কিংসের রক্ষণের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তবে ৪৩ মিনিটে দারুণ এক শটে গোল করে কিংসকে সমতায় ফিরিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফেরেইরা।
প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে কিংসই বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে রবসন দা সিলভার কাছ থেকে বল পেয়ে মোহনবাগানের গোলমুখে দারুণ এক থ্রু বাড়িয়েছিলেন মিগুয়েল। কিন্তু দরিয়েলতন মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইতকে ফাঁকা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ২১ মিনিটে দরিয়েলতন যে সুযোগটি মিস করেছেন, সেটি আরও অমার্জনীয়। দিদিয়েরের থ্রু থেকে বল পেয়ে মোহনবাগানের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে মেরে দেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
মোহনবাগান যে গোলটি করে এগিয়ে গেছে, সেটিতে বসুন্ধরার রক্ষণের দায় নিতেই হচ্ছে। রাইটব্যাককে বোকা বানিয়ে মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসন কামিন্স গোলমুখে যে শটটি করেন, সেটি কিংসের তরুণ গোলকিপার মেহেদী হাসান ঠিকমতো ফিস্ট করতে পারেননি। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বসুন্ধরার ডিফেন্ডাররা বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন কোলাসো।
গোল খেয়ে অবশ্য হতোদ্যম হয়নি কিংস। মোহনবাগানের সীমানায় একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছেন। সুযোগ এসেছে কয়েকটি। ৩৫ মিনিটে রাকিবের ক্রস থেকে গোল করতে পারেননি রবসন। তবে ৪৩ মিনিটে কিংস অ্যারেনার দর্শকদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটান মিগেল। মোহনবাগানের বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে গোলকিপার বিশাল কাইতকে কোনো সুযোগই দেননি তিনি।