সংবাদমাধ্যমের দাবি: বায়ার্নের কোচ হচ্ছেন কোম্পানি
টমাস টুখেলের শূন্যস্থান পূরণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল বায়ার্ন মিউনিখকে। শেষ পর্যন্ত একটা সমাধান পেয়ে গেছে বায়ার্ন। জার্মান ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বায়ার্নের কোচ হতে যাচ্ছেন ভিনসেন্ট কোম্পানি। তাঁর কোচিংয়ে সদ্য সমাপ্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে ১৯তম হয়ে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে অবনমিত হয়েছে বার্নলি।
জার্মানির শীর্ষ সংবাদপত্র বিল্ড, প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি হয়েছেন কোম্পানি। বার্নলিও কোম্পানিকে ছাড়তে রাজি হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী এই বেলজিয়ানের সঙ্গে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে বার্নলির। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪ বছর আগেই বার্নলি ছাড়তে চলায় বায়ার্নকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে দুই ক্লাব আলোচনাও শুরু করেছে।
ম্যানচেস্টার সিটি খেলোয়াড় হিসেবে ১১ মৌসুমে ১২টি ট্রফি জিতেছেন কোম্পানি। দলটিকে দীর্ঘ সময় নেতৃত্বও দিয়েছেন। ২০১৯ সালে সিটি ছেড়ে ফিরে যান কৈশোরের ক্লাব আন্ডারলেখটে। শুরুর দিকে ক্লাবটির হয়ে খেলোয়াড়-কোচ উভয় ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। পরের বছর খেলোয়াড়ি জীবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলে দিয়ে আন্ডারলেখটেরই প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন।
২০২২ সালে ইংলিশ ফুটবলে ফেরেন কোম্পানি। দায়িত্ব নেন ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিবেশী ক্লাব বার্নলির। মাঝারি মানের দলটির কোচ হয়ে অম্লমধুর অভিজ্ঞতাই হয়েছে কোম্পানির। ২০২২-২৩ মৌসুমে তাঁর অধীন চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসে বার্নলি। এবার ঠিক তার উল্টো। প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে আবারও চ্যাম্পিয়নশিপে!
টুখেলের অধীন এ মৌসুমে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি বায়ার্ন। ১১ বছর পর ক্লাবটি বুন্দেসলিগা শিরোপা ধরে রাখতেও ব্যর্থ হয়। মৌসুমজুড়ে ক্লাবটির পারফরম্যান্স ছিল প্রত্যাশার অনেক নিচে। গত ফেব্রুয়ারিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩ ম্যাচ হারের পরেই বায়ার্ন ঘোষণা দেয় মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়বেন টুখেল। এ ঘোষণার পরই নতুন কোচ খুঁজতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
বায়ার্নের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিলেন জাবি আলোনসো। লেভারকুসেনকে প্রথমবার বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতানো জাবি ‘না’ বলে দিলে গত বছরের মার্চেই ছাঁটাই করা কোচ ইউলিয়ান নাগলসমানের দিকে হাত বাড়ায়। তবে নাগলসমান বায়ার্নে ফেরার সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিয়েছে জার্মানি জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ান।
এরপর অস্ট্রিয়ায় কোচ রাল্ফ রাংনিককে প্রস্তাব দেয় বায়ার্ন। ‘গেগেনপ্রেসিংয়ের গডফাদার’খ্যাত রাংনিকও বায়ার্নের কোচ হতে অপারগতা জানান। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিতেই সমাধান খুঁজে নিতে চাইছে জার্মানি সফলতম ক্লাবটি।
কোম্পানির জার্মান-অভিজ্ঞতাও আছে। ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে দুই মৌসুম খেলেছেন হামবুর্গ এসভিতে। হামবুর্গার বর্তমানে জার্মানির দ্বিতীয় স্তরে প্রতিযোগিতা বুন্দেসলিগা ২-এ খেলছে।