আর্জেন্টিনার মেয়েরা আর ১০ মিনিট পেলেই...

আর ১০ মিনিট পেলেই...ছবি: রয়টার্স

ইতালির বিপক্ষে হেরে নারী বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ–ভাগ্যে ‘জয়’ লেখা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও। তবে এ যাত্রায় হার এড়িয়েছে তারা। শুক্রবার ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়টা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডানেডিনের এই ম্যাচে লিন্ডা মতহালো ও থেম্বি কাতলানার গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আফ্রিকান দলটি। ৩০ মিনিটের সময় মতহালো আর ৬৬ মিনিটে কাতলানো গোল করেন। ৭৪ মিনিট পর্যন্ত ২ গোলে এগিয়ে থাকা দলটিই শেষ পর্যন্ত জিততে পারল না। প্রথমে আর্জেন্টিনার হয়ে স্কোরলাইন ২-১ করেন সোফিয়া ব্রাউন। ৫ মিনিট পরই গোল শোধ করে দেন রোমিনা নুনেজ।

আরও পড়ুন
৭৪ মিনিট পর্যন্ত ২–০ গোলে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্ভাগ্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রথম ম্যাচেও সুইডেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সুইডেন ১-১ করার পর শেষ মিনিটের গোলে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যায় ২-১ গোলে।

মেয়েদের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো জয় পায়নি আর্জেন্টিনা। অথচ তারা খেলে ফেলেছে ১১ ম্যাচ। জয় পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকাও। আজ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও সেটি হয়নি আর্জেন্টাইন মেয়েদের দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয়।

আরও পড়ুন
নারী বিশ্বকাপে এখনো জয়হীন আর্জেন্টিনা
ছবি: রয়টার্স

দুই দলই পেতে পারত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়। আক্ষেপ দুই দলের মধ্যেই আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ডেসিরি এলিস। তাঁর মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছে, ‘আজকে সুযোগ ছিল নিজেদের আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, কিন্তু আমরা পারিনি।’

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া আর্জেন্টাইন ফুটবলার সোফিয়া ব্রাউনের মতে, ‘আজ দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটি আমাকে গর্বিত করেছে। আমরা এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়িনি। নিজেদের উজাড় করে দিয়ে লড়েছি।’

আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনা–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে কেউ জেতেনি
ছবি: রয়টার্স

তবে আরেক ফুটবলার ইয়ামিলা রদ্রিগেজের আক্ষেপ ম্যাচটা আর ১০ মিনিট কেন হলো না। আর কিছুক্ষণ খেলা হলেই নাকি আর্জেন্টিনা পেয়ে যেত নারী বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয়, ‘তারা আমাদের আর ১০ মিনিট দিলেই আমরা ম্যাচটা বের করে নিতাম।’

এই ইয়ামিলা রদ্রিগেজ কিছুদিন আগে নিজের পায়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ট্যাটু করে আর্জেন্টিনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আর্জেন্টিনার কোনো খেলোয়াড়ের ট্যাটু না করে তিনি কেন রোনালদোর ট্যাটু করেছেন—সমালোচনাটা এটি নিয়েই। ইয়ামিলা রদ্রিগেজকে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই স্পষ্ট করতে হয়েছে নিজের অবস্থান। বলেছেন, রোনালদোর ট্যাটু করলেও আর্জেন্টিনা আর মেসি আছেন তাঁর হৃদয়েই।’