মেসি–সুয়ারেজদের ছাড়াই কানাডায় মায়ামির জয়
লিওনেল মেসির খেলা দেখতেই কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ও ইন্টার মায়ামি ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়েছিল দেদার। এমনকি দাম বাড়ানোর পরও কমেনি টিকিট বিক্রির গতি। সব মিলিয়ে এই ম্যাচ দেখতে টিকিট কিনেছিল প্রায় ৫৪ হাজার দর্শক। কিন্তু ম্যাচের আগেই দর্শকদের মেসিকে দেখার সব আশায় পানি ঢেলে দেয় মায়ামি। লম্বা ভ্রমণের ধকল এড়াতে মেসিকে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ম্যাচে দেওয়া হয় বিশ্রাম।
মেসিই শুধু নন, এই সফরে নেওয়া হয়নি লুইস সুয়ারজে ও সের্হিও বুসকেতসকেও। মেসিসহ শীর্ষ তারকাদের কাছ থেকে না দেখার হতাশা থাকলেও বিসি প্যালেস স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি মোটেই কম ছিল না। যদিও শেষ পর্যন্ত খর্বশক্তি মায়ামির বিপক্ষে নিজ দলের জয় দেখে মাঠ ছাড়তে পারেনি স্বাগতিক দর্শকেরা। দলের তিন সেরা তারকাকে ছাড়াই ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইন্টার মায়ামি।
এ ম্যাচে মায়ামি জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। মায়ামির হয়ে প্রথম গোলটি করেন রবার্ট টেলর। পরে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনার্দো কাম্পানা। পেনাল্টিতে রায়ান গাল্ড ভ্যাঙ্কুভারের হয়ে এক গোল শোধ করলেও তাতে ঠেকানো যায়নি মায়ামির জয়।
ম্যাচে অবশ্য আক্রমণ ও বল দখলে ভ্যাঙ্কুভারই এগিয়ে ছিল। ৫২ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৬টি শট নেয় তাঁরা, যদিও লক্ষ্যে রাখতে পারে মাত্র ২টি শট। বিপরীতে মায়ামি ৯ শটের ছয়টিই লক্ষ্যে রাখে এবং সুযোগও কাজে লাগায়। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে জর্দি আলবার ডিফেন্স–ছেঁড়া পাস থেকে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে মায়ামিকে এগিয়ে দেন টেলর। ৫৪ মিনিটে মায়ামির দ্বিতীয় গোলটি ছিল দলীয় এক আক্রমণের ফসল। এবার টেলরের কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কাম্পানা।
এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রাখল মায়ামি। ১৬ ম্যাচ শেষে ১০ জয়, ৪ ড্র এবং ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩৪। এক ম্যাচ কম খেলে দুই নম্বরে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩৩। মায়ামি নিজেদের পরের দুটি ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠে। ৩০ মে মায়ামির প্রতিপক্ষ আটলান্টা ইউনাইটেড। আর ২ জুন তারা আতিথ্য দেবে সেন্ট লুইসকে।