বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনা–ভক্তদের যা বললেন মেসি
এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ কি কিছুটা কম? অন্তত বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে কি এমন মনে হচ্ছে?
হতে পারে। তবে বিশ্বকাপ আরেকটু এগিয়ে আসার সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যে পতাকা শোভা পাওয়ার সংখ্যাও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের পতাকায় ছেয়ে যায় বিভিন্ন এলাকা। শুধু এই দেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও বিশ্বকাপ ফুটবল অন্য রকম আমেজ তৈরি করে।
আর আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা এই আমেজের মধ্যে যেন এককাঠি সরেস। কাতারে এরই মধ্যে প্রচুর আর্জেন্টাইন সমর্থক ভিড় জমিয়েছেন। উৎসবের মেজাজে মেসিদের মাঠে নামার অপেক্ষায় সবাই। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা এসব ভক্তদের নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘দারিও ওলে’কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। সেখানে ভক্তদের প্রতি পিএসজির এই তারকা বলেছেন, ‘যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে আমরা বলে থাকি, সব সময় ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনাদের মতো আমিও রোমাঞ্চ অনুভব করছি।
আশা করছি নিজেদের শতভাগ উজাড় করে খেলতে পারব। আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষেই লড়ব; কারণ, গ্রুপটা শক্তিশালী। সব ম্যাচকেই সমান চোখে দেখতে হবে। কেউ যে এতটুকু ছাড় দেবে না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আশা করি সেরা ফল নিয়েই আসতে পারব এবং ঈশ্বর আমাদের সহায় হোন।’
কাতার বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০ নভেম্বর থেকে। ‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার তিন প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের মুখোমুখি হয়ে আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার অভিযাত্রা শুরু করবেন মেসি। এ নিয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভক্তদের অদ্ভুত এক আচরণ নিয়েও কথা বলেন সাতবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।
অনেকের কাছে তা অদ্ভুত মনে হলেও কারও কারও কাছে অবশ্য ভালোবাসার নিদর্শনও মনে হতে পারে। আর সেই আচরণটি হচ্ছে, আর্জেন্টিনা দল মাঠে থাকতে ভক্তরা নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে হুট করে মাঠে ঢুকে পড়েন। দৌড়ে মেসির কাছে গিয়ে কখনো সেলফি কিংবা তাঁকে একটু ছুঁয়ে দেখতেও কেউ কেউ এমন ঝুঁকি নেন।
ভক্তদের এমন আচরণ নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে ভয় লাগে। যেমন ধরুন আর্জেন্টিনার সর্বশেষ ম্যাচেই এমন ঘটেছে। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে আমাকে মেরেও বসেছে!’
মাঠে ঝুঁকি নিয়ে ঢুকে পড়ার পর অনেক রকম শাস্তির সম্মুখীনই হতে হয় ভক্তদের। মেসি মনে করেন, ভক্তরা নিজেদের পরিণতি জেনেও এই যে ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন, সেটি ‘আসলে ভালোবাসার নিদর্শন। তাঁরা জানেন পরে কী হতে পারে।
তবু এটা করে থাকেন।’ তবে এর নেতিবাচক দিকও মনে করিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন তারকা, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা কেমন আচরণ করবেন, তা কেউ জানেন না। কখনো কখনো তাঁরা সীমা ছাড়িয়ে যান। তখন সবার জন্যই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।’