গোলের পর ছেলের জন্য যেভাবে উদ্যাপন করলেন ডিউক
দুর্দান্ত এক হেডে গোল করতেই দৌড়ে গ্যালারির দিকে ছুটে গেলেন মিচেল ডিউক। এই স্ট্রাইকারের একমাত্র গোলেই বিশ্বকাপে আজ তিউনিসিয়াকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুধু তা-ই নয়, এই গোলের সুবাদেই এক যুগ পর প্রথমবার বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পেয়েছে সকারুরা।
স্মরণীয় এই গোলটা উদ্যাপনের জন্য ডিউক দৌড়ে যান গ্যালারির দিকে। গ্যালারিতে বসে তখন বাবার খেলা উপভোগ করছিল ছয় বছর বয়সী ছেলে জ্যাকসন। গোলের পর উদ্যাপন করতে গিয়ে ডিউক দুই হাতের আঙুল দিয়ে ছেলের নামের আদ্যক্ষর ইংরেজি ‘জে’ অক্ষরটি দেখান। ছেলে ছোট্ট জ্যাকসনও বাবার দেখাদেখি দুই হাতের আঙুল দিয়ে একইভাবে গোলের উদ্যাপন করেছে।
অস্ট্রেলিয়া-তিউনিসিয়া ম্যাচটি দেখতে আজ দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিল ডিউকের ছেলে জ্যাকসন, মেয়ে ক্লোয়ে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। বাবার খেলা দেখতে ডিউকের ১৫ নম্বরের জার্সিটাই পরে আসে জ্যাকসন। গোলের পর জ্যাকসনকে উড়ন্ত চুমু উপহার দেন ডিউক।
এরপর টিভি ক্যামেরায় জ্যাকসনের চেহারা দেখাতেই হাসিমুখে সেও বাবার দিকে থাম্বস আপ দেখিয়েছে।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আজকের জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা কিছুটা হলেও বেঁচে থাকল অস্ট্রেলিয়ার। ডিউকের গোলটার মূল্য তাই অনেক। আর ম্যাচ শেষ হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে বয়ে যায় প্রশংসার বন্যা।
এই ম্যাচ নিয়ে একটি টেলিভিশনে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ান ধারাভাষ্যকার কেউয়েল বলছিলেন, ‘অবিশ্বাস্য! এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আপনি জানেন না যে এই গোলটা করা কত কঠিন ছিল। এটি আমাদের জন্য এক নিখুঁত হেড ছিল।’
ফক্স সকার টুইট করেছে, ‘মিচেল ডিউক এবং অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই গোলটি কতটা ভালো তা বলে বোঝানো যাচ্ছে না।’ বিবিসি আফ্রিকার সাংবাদিক কাতামি মিচেল গোলটির প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘সঠিক জায়গায় ছিল সে। দুর্দান্ত হেড করেছে ডিউক।’
আলোচিত এই গোল নিয়ে ডিউক নিজেও আনন্দিত। ম্যাচের পর বলেন, ‘গোলটি নিয়ে কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না। জীবনে সেরা অনুভূতি হচ্ছে। তবে এখনই উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে চাই না।’