মেসি–রোনালদোর পর দিবালা যাঁকে সতীর্থ হিসেবে চান
আর্জেন্টিনা দলে লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া, গঞ্জালো হিগুয়েইন, লাওতারো মার্তিনেজসহ আরও অনেকের সঙ্গে খেলেছেন পাওলো দিবালা। ক্লাব ফুটবলে জুভেন্টাসে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও হিগুয়েইনকে। এখন ইতালির ক্লাব এএস রোমায় খেলছেন রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে।
ক্যারিয়ারে এত এত ভালো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলা দিবালাকে যদি সতীর্থ হিসেবে তিনজনকে বেছে নিতে বলা হয়, তাহলে কী করবেন? একজন যে মেসি হবেন, সেটা অনুমান করে নেওয়াই যায়। দ্বিতীয় সতীর্থ হিসেবে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড মেসির তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী পর্তুগালের অধিনায়ক রোনালদোকে চাইবেন। আর তৃতীয়? অনেকের কাছেই অদ্ভুত লাগলেও দিবালা এবার বেছে নেবেন আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার হিগুয়েইনকে।
আর্জেন্টিনার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। আটটি ব্যালন ডি’অর জেতা তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা ফুটবলার মেসির সঙ্গে কাতার বিশ্বকাপ জিতেছেন দিবালাও। সব মিলিয়ে মেসিকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়ার স্বপ্ন সেই ছোটবেলা থেকেই দেখতেন তিনি।
সতীর্থ বাছাই করে নেওয়ার প্রশ্নে দিবালা কালচিওমেরকাতোকে বলেছেন, ‘বিশ্ব ফুটবলে আমার প্রিয় তিন সতীর্থ মেসি, রোনালদো ও হিগুয়েইন।’ মেসিকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়া নিয়ে দিবালার কথা এ রকম, ‘ছোটবেলা থেকেই মেসির সঙ্গে খেলার স্বপ্ন ছিল...এখনো সে আমার প্রেরণা। তার সঙ্গে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় ভাগাভাগি করতে পারার স্মৃতি আমি কখনোই ভুলব না।’
ফুটবলের ব্যক্তিগত অর্জনে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দিবালা, ‘রোনালদো একজন চ্যাম্পিয়ন। জুভেন্টাসে তার সঙ্গে খেলাটা ছিল বিস্ময়কর এক ব্যাপার। তখন পর্যন্ত যা পেয়েছি, সেটা বিবেচনায় রেখেই নিজের পেশার প্রতি নিবেদন আর জয়ের তেষ্টার বিষয়টি আমি তার কাছেই শিখেছি।’
২০০৩ থেকে ২০০৯—ছয় মৌসুম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলে রোনালদো নাম লিখিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। সেখান থেকে ২০১৮ সালে পাড়ি জমান ইতালিতে। জুভেন্টাসে তিন বছর খেলে ইতালির পাট চুকিয়ে ২০২১ সালে আবার ফেরেন ইউনাইটেডে।
ইউনাইটেডে দ্বিতীয় অধ্যায়টা অবশ্য সুখকর হয়নি রোনালদোর। তিনি নিজে যেমন ছন্দহীন ছিলেন, দলও ভালো করতে পারেনি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের এক মৌসুমে। শেষ পর্যন্ত কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর ইউনাইটেড ছাড়েন ক্লাবটির কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের প্রিয় শিষ্য রোনালদো।
ইউনাইটেড ছেড়ে ইউরোপের ফুটবলে আর থাকেননি রোনালদো, নাম লেখান সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে। এই ৩৯ বছর বয়সেও সেখানে তিনি নিজের দুর্দম্য আর অপরাজেয় রূপটা দেখিয়ে যাচ্ছেন। এটা নিয়ে দিবালা বলেছেন, ‘সে যে সৌদি আরবে ভালো করছে, তা নিয়ে আমি মোটেও বিস্মিত নই।’