রোনালদো > ইউসেবিও + ফিগো + পলেতা
ইউসেবিও + লুইস ফিগো + পলেতা = ১২০, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো = ১২২। ভাবছেন কীসের যোগফল আর কীসের হিসাব? তাহলে বলে ফেলা যাক—গোলের হিসাব!
ইরানের আলী দাইয়িকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা অনেক আগেই হয়েছেন রোনালদো। এর পর থেকে গোলের সংখ্যাকে শুধু বাড়িয়েই নিচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানো রোনালদো তাঁর পূর্বসূরিদের ছাড়িয়ে গেছেন আরও আগে। এবার নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে গোলের হিসাবে পর্তুগালের দুই কিংবদন্তি ইউসেবিও ও ফিগো এবং পলেতা মিলিয়েও তাঁর চেয়ে নিচে!
উয়েফা ইউরোর বাছাইপর্বে গত রাতে লুক্সেমবার্গকে ৬–০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর গোলসংখ্যা এখন ১২২, যা ইউসেবিও, সাবেক অধিনায়ক ফিগো ও সাবেক স্ট্রাইকার পলেতার পর্তুগালের হয়ে সম্মিলিত গোলের চেয়ে বেশি।
পর্তুগিজ ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কে—এই প্রশ্নে বর্তমান প্রজন্মের ফুটবল অনুসারীরা রোনালদোর নামই হয়তো বলবেন। কিন্তু ফুটবলবোদ্ধাদের চোখে ইউসেবিওই হয়তো পর্তুগালের সর্বকালের সেরা। কেউ আবার লুইস ফিগোর নামও বলতে পারেন।
প্রায় একক নৈপুণ্যে পর্তুগালকে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন ইউসেবিও। তীব্র গতি, চমৎকার ড্রিবলিং আর নিখুঁত শুটিং দক্ষতার কারণে ভক্তরা তাঁকে ‘কালো চিতা’ নামে ডাকতেন। সেই ইউসেবিওর চেয়ে রোনালদোর গোল প্রায় ৩ গুণ বেশি! ৪১ গোল নিয়ে পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তিনে আছেন ইউসেবিও।
শুধু কি তা–ই? পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা পলেতা (৪৭) এবং ইউসেবিও (৪১) ও ফিগোর (৩২) গোল যোগ করলেও রোনালদোর সমান হয় না। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোর গোল এই তিনজনের মিলিত গোলের চেয়ে দুটি বেশি!