জার্মান ডিফেন্ডারই বলছেন, তাঁদের বিশ্বকাপ জেতা হবে ‘চমক’
২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি চার বছর আগে রাশিয়ায় বিদায় নিয়েছিল প্রথম পর্ব থেকেই। এবারের কাতার বিশ্বকাপেও জার্মানিকে নিয়ে খুব একটা আশাবাদ শোনা যাচ্ছে না। এমনকি জার্মানি দলের মধ্যেই নিজেদের নিয়ে খুব একটা আশা নেই। এটা স্পষ্ট হয়, দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তারকা আন্তোনিও রুডিগারের কথায়ই। কাতার বিশ্বকাপে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন হলে সেটি বড় ‘চমক’ হবে বলেই মনে করেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান ডিফেন্ডার।
চার বছর আগে জার্মান দল রাশিয়া বিশ্বকাপে গিয়েছিল শিরোপা ধরে রাখতে। কিন্তু মেক্সিকো আর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে জার্মানি বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। রাশিয়া বিশ্বকাপে জার্মান দলে ছিলেন রুডিগার। বেশির ভাগ সময় বেঞ্চে বসে সেই দুঃসহ বেদনা চোখে দেখা এই ডিফেন্ডার অনেক বেশি পরিণত। হানসি ফ্লিকের দলের রক্ষণে অন্যতম ভরসা তিনি।
২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের শিরোপা জার্মানি জিতেছিল দুর্দান্ত একটি প্রজন্মের অসাধারণ পারফরম্যান্সে। ফিলিপ লাম, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার, টনি ক্রুস, মারিও গোটশেদের পথ অনুসরণ করে লিরয় সানে, জশুয়া কিমিচ, কাই হাভার্টজ, ইলকাই গুন্দোয়ান, সার্জ নাব্রি, লিওন গোরেৎস্কারা এবার দলকে বিশেষ কিছু উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁপাবে, এটাই জার্মানদের প্রত্যাশা। নতুন জার্মানির এই তারকাদের সঙ্গে টমাস মুলার, মারিও গোটশে, ম্যানুয়েল নয়্যাররা তো আছেনই। রুডিগার আশাবাদী নতুন দিনের তারকাদের নিয়েও, ‘এটা নতুন একটা সময়, নতুন একটা প্রজন্মের হাতে জার্মানি। প্রজন্মটা দুর্দান্ত। ২০১৪ সালের প্রজন্মটা ছিল দারুণ। টনি ক্রুস, ফিলিপ লাম, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারদের সেই প্রজন্ম সাফল্য পেয়েছে। নতুন প্রজন্মও তাদের মতোই সাফল্য এনে দিতে প্রস্তুত। সেই সামর্থ্য তাদের আছে।’
তবে কি এবার জার্মান-ভক্তরা আশায় বুক বাঁধতে পারেন? যখনই বিশ্বকাপে জার্মানিকে ফেবারিট বিবেচনা করা হয় না, তখনই দলটা জ্বলে ওঠে। অতীতে বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপে এমনটি দেখা গেছে। রুডিগারও বললেন একই কথাই, ‘জার্মানিকে কখনোই আপনি হিসেবের বাইরে ফেলে দিতে পারবেন না।’
নতুন প্রজন্মকে হয়তো চাপে ফেলতে চান না রুডিগার। এ কারণেই কি না স্বপ্নের পরিধিটা ছোট করতে চাইলেন তিনি, ‘সবাই যদি জার্মানির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেন, তাহলে দেখবেন, আমরা খুব একটা ভালো করিনি। তাই বিশ্বকাপটা যদি জার্মানি জিতেই যায়, সেটি হবে বড় চমক।’
আগের বিশ্বকাপে বেশির ভাগ সময় বেঞ্চে কাটানো রুডিগার এবারের বিশ্বকাপে ছাপ ফেলতে চান তাঁর অভিজ্ঞতার, ‘ব্যাপারটা রোমাঞ্চকর। ২০১৮ সালে আমি তরুণ ছিলাম। জার্মান দলের বেঞ্চে বসেই কেটেছে বেশির ভাগ সময়। কিন্তু এবার আমার দায়িত্ব অনেক বেশি। আমি এবার জার্মান দলে আছি রক্ষণের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে। অনেকটা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা আমার। অনেক চেষ্টা, অনেক পরিশ্রমের পর এমনটা হতে পেরেছি। ব্যাপারটা আমাকে অনেক তৃপ্তি দেয়। আমি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’