অস্কার ব্রুজোন-কিংস অধ্যায়ের সমাপ্তি
২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশের শীর্ষ ফুটবলে এসেছিল করপোরেট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। প্রথম থেকেই অস্কার ব্রুজোন ছিলেন কিংসের প্রধান কোচ। তাঁর অধীন কিংস টানা পাঁচবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বাধীনতা–পরবর্তী ফুটবলে রেকর্ড গড়েছে। পাশাপাশি তিনটি করে ফেডারেশন ও স্বাধীনতা কাপের শিরোপাও জিতেছে ক্লাবটি।
তবে এএফসি কাপে কিংস ভালো করতে পারেনি। এ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও কিংস কর্তৃপক্ষ এত দিন স্প্যানিশ কোচের পক্ষেই ছিল। তবে সম্প্রতি অস্কারের সঙ্গে কিংসের ম্যানেজার ওয়াসিমুজ্জামানের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ খানিকটা নাখোশ ছিল কোচের ওপর। বিষয়টা নিয়ে অখুশি ছিলেন ব্রুজোন নিজেও। দুই পক্ষের চুক্তি তাই আর নবায়ন হয়নি। কিংসের সঙ্গে অস্কার ব্রুজোনের ছয় বছরের সম্পর্কে ছেদ পড়ল।
অস্কার ব্রুজোনই আজ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তিনি আর কিংসের সঙ্গে নেই, ‘ছয় বছর শেষে আমি এখন মুক্ত। এখানেই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবারই আমি চলে যাচ্ছি। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ দরকার আমার।’ বিদায়ের কারণ হিসেবে বলেন, ‘ক্লাব ম্যানেজারের সঙ্গে আমার মতের অমিল হয়েছে।’
বিদায়ের খবরটি ব্রুজোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট করে জানিয়েছেন। কিংসের হয়ে তাঁর পথচলায় খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, সমর্থক ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন। তিনি ক্লাব সভাপতিকে শুভকামণা জানিয়ে লিখেছেন ভবিষ্যতেও কিংসের সাফল্য উর্ধ্বমুখী থাকবে। সভাপতির আশপাশের মানুষ ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে ক্লাবকে সামনে এগিয়ে নেবে বলেই আশা প্রকাশ করেন ব্রুজোন।
এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফোনে পাওয়া যায়নি ওয়াসিমুজ্জামানকেও। তবে ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, নতুন কোচের সন্ধানে আছে চ্যাম্পিয়নরা।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ কোচ জেমি ডেকে সরিয়ে ২০২১ সালে মালদ্বীপ সাফ ফুটবলে ব্রুজোনকে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচেরও দায়িত্ব দিয়েছিল বাফুফে। সেবার নেপালের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।