এনদ্রিক বললেন, ‘গোল করলে সবাই আনন্দ করবে, হারলে ছুড়ে ফেলবে’
মাঠে নেমেই একটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন তিনি। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ম্যাচ শুরু করা সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড়। কিন্তু রেকর্ডের ম্যাচটি সুখকর হয়নি এনদ্রিকের। লিলের মাঠ থেকে তাঁর দল হেরে এসেছে ১-০ গোলে। এ নিয়ে কিছুটা সমালোচনার মধ্যেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে এনদ্রিক সমালোচনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন। তাঁর মতে, ফুটবলের ধরনটাই এমন। ভালো করলে মাথায় তুলে নাচা হবে, খারাপ করলে ছুড়ে ফেলা হবে। ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড তাই বাস্তবেই পা রাখতে চান।
এনদ্রিকের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেক হয়েছে গত মাসে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ম্যাচেই। গোলও করেছিলেন সেদিন। তবে মাঠে নেমেছিলেন তখন বদলি হিসেবে। বুধবার রাতে লিলের বিপক্ষে কার্লো আনচেলত্তি তাঁকে একাদশে রাখেন। ১৮ বছর ৭৩ দিন বয়সে নেমে এনদ্রিক গড়েন ক্লাব রেকর্ড।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের ৩৬ ম্যাচ পর প্রথম হারে দলটির খেলার ধরন ও দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনামুখর হয়েছেন অনেকেই। এই নেতিবাচক বিষয়গুলো কীভাবে নিচ্ছেন, জিজ্ঞেস করলে এনদ্রিক বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কে কোথায় কী বলছে, সেসব আমি দেখি না। এটাই ফুটবল। যখন আপনি গোল করবেন, সবাই আনন্দিত হবে। যখন হারবেন, সবাই ছুড়ে ফেলবে।’
জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানোর আগে দুই মৌসুম ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসে খেলেছেন এনদ্রিক। সেখানেই সমালোচনা সামাল দিতে শিখেছেন বলে জানান এই ফরোয়ার্ড, ‘এসব আমার সঙ্গে আগেও ঘটেছে, যখন পালমেইরাসে খেলতাম। আমি শিখেছি এসব উপেক্ষা কীভাবে করতে হয়। এটা কোনো ব্যপার নয়—এ নামের বোতামটায় একটা চাপ দিই। আমি শুধু কোচ আর সতীর্থদের পরামর্শই অনুসরণ করি।’
এনদ্রিকের মতে ম্যাচের প্রথম মিনিটে মাঠে নামা আর বদলি হিসেবে নামার মধ্যে খেলোয়াড় হিসেবে চ্যালেঞ্জের তারতম্য আছে। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগে শুরুর একাদশে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এই অনুভূতি অসাধারণ। আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবে খেলি। সেই ক্লাবের হয়ে ম্যাচ শুরু করাটা সহজ নয়। আনচেলত্তি সব সময়ই আমাকে ডেকে কথা বলেন। বলেন আমার এখানে থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি অন্যদের কাছ থেকেও শিখি।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে এনদ্রিকের দলের পরের ম্যাচ ২৩ অক্টোবর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। তার আগে লা লিগায় ৬ অক্টোবর ভিয়ারিয়াল আর ২০ অক্টোবর সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ।