২৭ সেকেন্ডে গোল খাওয়ার ধাক্কায় শীর্ষে রিয়াল
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কিক অফ হলো। রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড় প্রথম বল স্পর্শ করলেন ২৮ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মাথায়। গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া বল সংগ্রহ করলেন রিয়ালের জাল থেকে!
তাঁর আগে ২৭ সেকেন্ডে ফরোয়ার্ড ফাবিও সিলভার করা গোলটিতে মোট ৩১ বার বল স্পর্শ করার পাশাপাশি ১১টি পাস খেলেন লাস পালমাসের খেলোয়াড়েরা। টিভিতে ম্যাচ প্রচার শুরুর পর কিক অফ থেকে পালমাসের কোনো খেলোয়াড়ের এটাই দ্রুততম গোল। বার্নাব্যুতে লা লিগার ম্যাচে খেলা শুরুর পর থেকে হিসাব করলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরও এটা দ্রুততম গোল। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার পর কি বোঝা গেল?
বোঝা গেল, ফাবিও সিলভার গোলের আগেও গ্যালারিতে কিংবা মাঠে কেউ সেভাবে থিতু ছিলেন না। রিয়ালের খেলোয়াড়েরা তো নয়ই। সিলভার গোলেই সম্ভবত কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের চৈতন্য জাগ্রত হয়—‘আরে! ঠিকমতো দাঁড়ানোর আগেই তো গোল খেয়ে গেলাম!’ ম্যাচটি দেখে থাকলে বাকিটা আপনার জানা। আর না দেখে থাকলে এটুকু বলা ভালো, হজম করা সেই গোলটি ম্যাচে মনোযোগী করে তুলেছে রিয়ালকে, যে কারণে চার গোল হজম করতে হলো পালমাসকে। ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে রিয়াল।
তবে স্কোরলাইনে রিয়ালের পাশে ‘৭’ সংখ্যাটা থাকতে পারত। বাতিল হয়েছে ৩টি গোল। ৪২ মিনিটে রদ্রিগোর পাস থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলটি ভিএআর রিভিউয়ে বাতিল হয়, যেটা না হলে তাঁর হ্যাটট্রিক হয়ে যেত। অফসাইড ছিলেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। তার আগেই অবশ্য ১৮ ও ৩৬ মিনিটে দুটি গোল করে ফেলেন।
রদ্রিগো পালমাসের বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। সেখান থেকে স্পটকিকে ১৮ মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। ৩৬ মিনিটে তাঁর দ্বিতীয় গোলটি দলীয় দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ের ফসল। তখনই ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝে ৩৩ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজের গোলেও ভূমিকা আছে এমবাপ্পের। তাঁর শট পালমাস গোলকিপার ঠেকিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি বলে লুকাস ভাসকেজের পাস থেকে গোল করেন দিয়াজ।
৩-১ গোল এগিয়ে বিরতি থেকে ফেরার পর রিয়াল গোল পেয়েছে তিনটি। বাতিল হয়েছে দুটি। একটি জুড বেলিংহামের। ৭৩ মিনিটে বল জালে পাঠানোর আগে বেলিংহাম অফসাইড ছিলেন—এই রায় দিয়েছে ভিএআর রিভিউ। ৮৬ মিনিটে ফেদে ভালভের্দের গোলেও একই রায় দেয় ভিএআর রিভিউ। ৫৭ মিনিটে গোলটি রদ্রিগোর। গার্সিয়ার পাস বক্সে পেয়ে গোল করেন ব্রাজিল উইঙ্গার। পালমাস ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছে ৬৪ মিনিটে। মিডফিল্ডার বেনিতো রামিরেজ বুট দিয়ে আঘাত করেন রিয়াল অধিনায়ক ভাসকেজকে। সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।
লা লিগার ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে এক ম্যাচে রিয়ালের তিনটি গোল ভিএআরে বাতিল হলো। তবে সেটি এই ম্যাচে নয়। বলা ভালো, এমন ঘটনা রিয়ালের সঙ্গেই দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ২০২২ সালে এলচের বিপক্ষে ম্যাচেও ভিএআরে রিয়ালের তিনটি গোল বাতিল হয়। এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ।