দলবদলে বার্সার এত ব্যয় অদ্ভুত লাগছে নাগলসমানের
রাফিনিয়ার পর রবার্ট লেভানডফস্কির ঠিকানাও এখন ক্যাম্প ন্যু। লিডস ইউনাইটেড থেকে রাফিনিয়াকে পেতে বার্সেলোনা খরচ করেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ইউরো। আর বায়ার্ন মিউনিখ থেকে লেভাকে দলে ভেড়াতে বার্সার ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছে পাঁচ কোটি ইউরো।
চরম আর্থিক সংকটে থাকা একটি দলের দলবদলে এত এত অর্থ খরচ করাটা একটু অদ্ভুতই লাগছে বায়ার্নের কোচ ইউলিয়ান নাগলসমানের কাছে। বায়ার্নে আট বছর কাটানোর পর পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডফস্কি বার্সায় নাম লিখিয়েছেন। এরপর এবারের দলবদলের বাজারে বার্সার অর্থ ব্যয় নিয়ে ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন তুলেছেন নাগলসমান।
এমএলএসের দল ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রাক্–মৌসুম প্রীতি ম্যাচের আগে বায়ার্নের অনুশীলন সেশন শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন নাগলসমান। অনেক দিন ধরেই বার্সেলোনার আর্থিক সংকট নিয়ে আলোচনা চলছে ফুটবল–বিশ্বে। আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে টিভিস্বত্বের ১০ শতাংশ এরই মধ্যে বিক্রি করেছে বার্সা। টিভিস্বত্বের আরও ১৫ শতাংশ বিক্রি করার আলোচনাও চালাচ্ছে ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটি।
সবকিছু মিলিয়ে অনেকেই মনে করছেন এবারের দলবদলে বার্সেলোনার কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করে খেলোয়াড় কেনার বিষয়টি তাদের বাজেটের সঙ্গে ঠিক মানানসই নয়। নাগলসমানের কথা, ‘শুধু রবার্টই নয়, তারা অনেক নতুন খেলোয়াড় নিয়েছে।’
নাগলসমান এরপর যোগ করেছেন, ‘আমি জানি না কীভাবে সৎ থাকতে হয়। এটাই বিশ্বের একমাত্র ক্লাব, যারা অর্থ না থাকার পরও খেলোয়াড় কিনতে পারে। আমার কাছে এটা অনেকটা অদ্ভুত আর পাগলাটে ধরনের ব্যাপার।’
এবারের দলবদলে রাফিনিয়া ও লেভাকে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে কিনলেও ফ্রাঙ্ক কেসি ও আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেনের মতো দুজন খেলোয়াড়কে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বিনা ট্রান্সফার ফিতে পেয়েছে বার্সেলোনা।