বিশ্বকাপে মাঠের খেলার সঙ্গে প্রতিবাদের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে অংশগ্রহণকারী অনেক দল। ইউরোপের একাধিক দলের অধিনায়কেরাও প্রতিবাদ বার্তা নিয়ে হাজির হবেন কাতারে। বিশ্বকাপের নির্মাণকাজের সময় ছয় হাজার শ্রমিকের মৃত্যু, এলজিবিটি–বিতর্ক নিয়ে অনেক দিন ধরে চলে আসা প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই কাতারে নিজেদের কণ্ঠ সোচ্চার করবে বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়েরা।
তবে প্রতিবাদের এ ধারায় গা ভাসাতে চান না ফ্রান্স অধিনায়ক উগো লরিস। বলেছেন, এখন সবার উচিত ফুটবলে মনোযোগ দেওয়া। সেই সঙ্গে কাতারবিরোধী অবস্থান নিতে খেলোয়াড়দের ওপর অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই গোলরক্ষক।
এর আগে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৩২ দলকে দিয়ে চিঠির মাধ্যমে বিতর্ক ভুলে ফুটবলে মনোযোগ দিতে বলেছিলেন। তবে এমন আহ্বানের পর তোপের মুখে পড়েন ফিফা সভাপতি। লরিস অবশ্য তাঁর এই আহ্বানকে খেলোয়াড়দের সম্মান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে এবারের বিশ্বকাপের নয়টি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের অধিনায়কেরা রংধনু–অঙ্কিত আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামবেন। যা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ‘ওয়ান লাভ’–এর প্রচারের কাজ করবে। এই ৯ অধিনায়কের একজন লরিসও।
তবে লরিস এ–ও মনে করেন, কাতারের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত, ‘আমার ব্যক্তিগত মত আছে এবং তা ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির (নোয়েল লা গ্রায়েত) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমরা যখন বিদেশি দর্শকদের নিজেদের দেশে স্বাগত জানাই, তখন আশা করি যে তারা আমাদের নিয়ম মেনে চলবে এবং আমাদের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করবে। আমি যখন কাতারে যাব, আমিও তা–ই করব। হয়তো আমি সেটার সঙ্গে একমত নই, তবে আমি সম্মান দেখাব।’
কাতারের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হলেও বিষয়গুলো নিয়ে চুপ করে থাকার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন লরিস। তবে লরিস মনে করেন এ ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের ওপর অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ওপর অনেক বেশি চাপ আছে। যদি চাপ দিতেই হয়, তবে সেটা ১০ বছর আগে দেওয়া উচিত ছিল। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। চার বছর পরপর খেলোয়াড়দের সামনে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ আসে। খেলোয়াড়দের মনোযোগ এখন মাঠে রাখা উচিত। বাকিটা রাজনীতিবিদেরা দেখুক, আমরা তো খেলোয়াড়।’