বিশ্বকাপের পর মেসি-রোনালদোর বাণিজ্যিক লড়াইয়ের অবস্থা যেমন
মেসি নাকি রোনালদো—কে সর্বকালের সেরা? এই বিতর্ক কি শেষ হয়েছে? মেসি বিশ্বকাপ জেতার পর অনেকেই এর মীমাংসা দেখে ফেলেছেন। অবশ্য রোনালদো সমর্থকেরা তা মানবেন কেন! যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির এই খেলা চিরন্তন। এর আগে পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নিয়েও চলেছে এই খেলা। সেই বিতর্কের অবসান না ঘটিয়েই অন্য লোকে পাড়ি জমিয়েছেন এ দুজন। মেসি-রোনালদোর লড়াইটাও তাই সহজে শেষ হওয়ার নয়।
এরপরও বিশ্বকাপ জয় বিতর্কের সময় মেসিভক্তদের কিছুটাও হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে। তবে দ্বৈরথটা যদি হয় বাণিজ্যিক এবং বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিংয়ের, সেখানে পারদটা রোনালদোর দিকেই কিছুটা হেলে পড়তে দেখা যায়।
রোনালদো, ইনস্টাগ্রামে যাকে সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করা হয়। বহির্মুখী স্বভাব, নায়কোচিত চরিত্র, ছবির মতো শরীর এবং সরস অভিব্যক্তি পর্তুগিজ মহাতারকাকে অন্তর্মুখী, ছোটখাটো গড়ন, সাদাসিধা চেহারার আর্জেন্টাইন মহাতারকার চেয়ে কিছুটা এগিয়েই রাখে।
তবে এটুকু মানতে হবে যে গত মাসে মেসির বিশ্বকাপ জয় রোনালদোকে অনেক ক্ষেত্রে চাপে ফেলেছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনেক জায়গায় মেসির অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। তবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দুজনের তুলনামূলক অবস্থানটা কেমন?
নিজের বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোর জন্য মেসি নির্ভর করে তাঁর বাবা হোর্হে ও ভাই রদ্রিগোর ওপর। অনেক শীর্ষ তারকা প্রতিষ্ঠিত এজেন্সিগুলোকে বেছে নিলেও মেসি এখনো নিজের ঘনিষ্ঠদের ওপরই এটি ছেড়ে দিয়েছেন।
মেসি যেখানে অনেকগুলো বাণিজ্যিক চুক্তি দ্বারা লাভবান হচ্ছেন, রোনালদো সেখানে বড় দানটা মেরেছেন ক্লাব বদল করে। মাঝমৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যাওয়াটা রোনালদোকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বকাপ জেতার পর মেসির ব্র্যান্ড ভ্যালুতে কেমন উল্লম্ফন দেখা গেছে, জানতে চাইলে স্পোর্টস মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ টিম ক্রো বলেছেন, ‘মেসিকে যা রোনালদোর চেয়ে আলাদা করেছে তা হলো, সে বিশ্বকাপ জিতেছে। সেখানে সে সেরা পারফরমার ছিল।যে কারণে অনেক মানুষ মেসিকে সর্বকালের সেরা মেনে নিচ্ছে। আর অনেক মানুষ এটা মেনে নিয়েছে যে এর মধ্য দিয়ে মেসি রোনালদোকে পেছনে ফেলে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।’
যদিও কেউ কেউ হয়তো ফুটবলীয় দিক থেকে এই ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করবে না। তবে বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় রোনালদো এখনো শীর্ষে। স্পোর্টিং গ্রুপ এজেন্সির পরিচালক আদ্রিয়ান রাইট বলেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে রোনালদো নিজের জন্য ভালো অবস্থান তৈরি করেছে। এশিয়ায় রোনালদোর বেশ ভালো বাজার আছে। আর উপমহাদেশে তার অনুসারীর সংখ্যাও অনেক।’
বিশেষ করে রোনালদো যেসব জায়গায় খেলেছেন, শুধু সেসব জায়গাতেই নয়, এর বাইরেও বড় একটি অঞ্চলে রোনালদো ব্যাপকভাবে পরিচিত। মেসি নিজেও অবশ্য লম্বা সময় বার্সেলোনার মতো শীর্ষ ক্লাবে খেলেছেন। যা তাঁকে বিশ্বব্যাপী তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছে। স্পেনের লা লিগা বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয় একটি লিগ।
এরপরও গত দুই মৌসুমে টিভিতে মেসির উপস্থিতি রোনালদোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বিশেষ করে ২০২১ সালে বার্সেলোনা থেকে মেসি পিএসজিতে যাওয়ার পর এটি অনেকটাই কমে গেছে। কারণ, প্রিমিয়ার লিগ বা অন্য শীর্ষ লিগের চেয়ে লিগ ওয়ানের জনপ্রিয়তা অনেক কম।
আরেকটি দিক থেকে রোনালদোকে সর্বকালের সেরা বলা যায়। নেট দুনিয়ায় যে পরিমাণ ভক্ত তাঁর আছে, সেটা অন্যদের জন্য ঈর্ষণীয়। তিনি শুধু ফুটবলার হিসেবে নন, মানুষ হিসেবেও সবচেয়ে অনুসারিত। যেমন পেশাদার ফুটবলারদের জন্য ইনস্টাগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে রোনালদোর দাপটটা বেশি দেখা যায়। অন্য দিকে মেসির কোনো ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত নেই।
ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর অনুসারী ৫২ কোটি ৯০ লাখ। পরের অবস্থানটি মেসির। তার অনুসারী ৪১ কোটি ৫০ লাখ। এরপর আছেন মার্কিন রিয়েলিটি তারকা কাইল জেনের এবং গায়িকা সেলেনা গোমেজ। পরবর্তী অবস্থানে আছেন রেসলার দ্য রক।
সোশ্যালব্লাদে নামের এক ওয়েবসাইটের গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বকাপের চার সপ্তাহে মেসির ইনস্টাগ্রাম অনুসারী রোনালদোর চেয়ে বেশি ছিল। তবে ‘সিআর সেভেন’শেষ আট থেকে বিদায় নেওয়ার পরও পার্থক্যের মাত্রাটা খুব বেশি ছিল না। এ সময়ের মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেসির অনুসারী ৩ কোটি মিলিয়ন বাড়ার বিপরীতে বেঞ্চে ঠাঁই হওয়ার রোনালদোর অনুসারী বেড়েছে ২ কোটি।
তবে ক্রো বলছেন, খেলোয়াড়দের বাণিজ্য বোঝার জন্য এই মানদণ্ডগুলো খুব বেশি সহায়ক নয়। তিনি বলেছেন, ‘যারা চুক্তিগুলো নিয়ে কাজ করে, তারা জানে, এগুলো সমীকরণের একটি অংশ। ব্র্যান্ডগুলো এ সংখ্যাগুলোকে খুব একটা বিশ্বাস করে না, কারণ এর অনেকগুলোই ভুয়া।’
তথ্যগুলো আরেকটু খতিয়ে দেখলে রোনালদোর এই এগিয়ে থাকা নিয়ে আরও সূক্ষ্ম তথ্য পাওয়া যাবে। প্রথমত, মেসি রোনালদোর চেয়ে ইনস্টাগ্রামে অনেক কম সময় দেন। পোস্টও দেন অনেক কম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোনালদো মেসির চেয়ে পোস্টপ্রতি বেশি অনুসারী পেয়ে থাকেন। তবে মেসির পোস্টে অনুসারীদের সম্পৃক্ততার হারও অনেক বেশি। সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যের ঘরে চোখ রাখলেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে। এমনকি সম্প্রতি মেসির একটি পোস্ট ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি ‘লাইক’ পাওয়াও এর সত্যতা নিশ্চিত করে।
একজন খেলোয়াড়ের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ফুটবলীয় কৌশলই সবকিছু নয়। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই খেলোয়াড়টির ব্যক্তিত্ব কতটা আকর্ষণীয়, তা-ও খতিয়ে দেখে। ক্রো বলেছেন, ‘মেসি স্প্যানিশ ভাষার দুনিয়াকে জয় করেছেন। বিপরীতে ইংরেজি ভাষার ব্যক্তি হিসেবে মেসি সম্পর্কে মানুষ খুব কম জানে।’
বৈশ্বিক তারকা হিসেবে মেসির জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছে তাঁর ইংরেজি না জানা। অন্যদিকে রোনালদো দুই মেয়াদে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলায় ভালোভাবে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করে নিতে পেরেছেন, যা বাণিজ্যিক বিশ্বে রোনালদোর গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
মেসির বিশ্বকাপ জয় কিছুটা হলেও বাণিজ্যিক বিশ্বের এই খেলার গতিপথে পরিবর্তন এনেছে। খেলার দুনিয়ায় মেসি আগে থেকেই পরিচিত মুখ, তবে বিশ্বকাপ জয় তাঁর প্রোফাইলটাকে আরও বিস্তৃত করেছে। বিশ্বব্যাপী শত কোটি মানুষ মেসির ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সেই মুহূর্তটির সাক্ষী হয়েছে। আর্জেন্টাইন জাদুকরের বিশ্বজয়ের প্রভাবটা বাণিজ্যিক দুনিয়ায় পড়াটা স্বাভাবিকই ছিল। যার ফলে ভিডিও গেমস থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের পরিসরে এখন দেখা যাচ্ছে মেসির মুখ।
পাশাপাশি দুই খেলোয়াড়ই অবশ্য বিতর্কিত চুক্তির অংশ। মেসির সৌদি আরবের পর্যটন দূত। যা কি না তাঁকে আর্জেন্টিনার ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের যে প্রচেষ্টা, তার বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া দুই তারকাই ক্রিপ্টোকারেন্সি পণ্যে ফ্যান টোকেনের বিজ্ঞাপন করেছেন। যার মধ্যে অনেকগুলোর অবশ্য মূল্যপতন দেখা গেছে।
সেই চুক্তিগুলো ঠিক বা ভুল, যা-ই হোক, এটা পরিষ্কার যে দুর্দান্ত ফুটবল ক্যারিয়ারকে সঙ্গী করেই তাঁরা নিজেদের বাণিজ্যিক শক্তির চূড়ায় উঠেছেন। এসকেইএমএ বিজনেস স্কুলের স্পোর্টস অ্যান্ড জিওপলিটিক্যাল ইকোনমির প্রফেসর সিমন চাদউইক বলেছেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা তাকিয়ে থাকি কর্মক্ষেত্রে আমাদের বেতন কত দূর পর্যন্ত বাড়ছে, সেদিকে। তবে ফুটবলারদের জন্য বেতন বাড়ে না, বরং এটা নিচের দিকে যেতে থাকে।’
দুই মহাতারকা এখন নিজেদের শেষ দিকের অর্থগুলো জড়ো করার কাজ করে যাচ্ছেন। বলা বাহুল্য, রোনালদো মেসির অনেক আগে থেকেই অর্থ সংগ্রহের এই অভিযান শুরু করেছেন।
২০০৯ সালে রোনালদো যখন রেকর্ড গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসেন, তখনই তাঁকে লস অ্যাঞ্জেলেস অভিনেত্রী প্যারিস হিল্টনের সঙ্গে পার্টি করতে দেখা গেছে। গুঞ্জন আছে, এসবের পেছনে বড় ধরনের বিপণন-উদ্দেশ্য জড়িয়ে ছিল। অন্যদিকে মেসিকে সব সময় ঘরোয়া মানুষ হিসেবে দেখা হয়েছে, যাঁকে প্রায়ই তাঁর স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো ও সন্তানদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়।
চাদউইক বলেন, ‘মেসির পথচলা দীর্ঘ এবং ধীর গতির। তবে রোনালদো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, তিনি চূড়ায় উঠেছেন এবং আপনি সব সময় তরুণ এবং আবেদনময় থাকবেন না। পাশাপাশি ব্র্যান্ডের প্রকৃতি পরিবর্তনের বিষয়টিও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।’
চাদউইকের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রোনালদো নিজের ঘরোয়া ভাবমূর্তিকে অনেক বেশি প্রচার করার চেষ্টা করেছেন। যেখানে তাঁর পেটানো শরীরের ছবি দেওয়ার চেয়ে সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ এবং বাচ্চাদের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করতে দেখা গেছে বেশি। এ ক্ষেত্রে তাঁকে সাবেক ইউনাইটেড ও রিয়াল কিংবদন্তি ডেবিড বেকহামের পথ অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডিংয়ের জায়গা থেকে বয়সের বিষয়টি বেকহামও ব্যবহার করেছিলেন দারুণভাবে।
চাদউইক এ নিয়ে বলেন, ‘একটা পর্যায়ে বেকহামকে আরমানির বক্সার শর্টসের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল। আর পাঁচ কিংবা দশ বছর পর তাঁর চুক্তিগুলো হতে দেখা যাচ্ছে মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের (যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট স্টোর চেইন) সঙ্গে। পাশাপাশি তুলনা করা যায় টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের সঙ্গেও। লম্বা সময় ধরে যিনি নাইকির মুখ ছিলেন এবং পরে যুক্ত হলেন ইউনিক্লোর সঙ্গে।’
এখন থেকে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য মেসি-রোনালদোর যাত্রাটা কেমন হবে, তা দেখার বাকি আছে। সে সময়েও তাঁরা নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক মহাতারকায় থাকবেন, তবে অবসরের পর সেই সময়টা আর একই রকম থাকবে না। যেখানে ক্লাবের বড় অঙ্কের বেতনও থাকবে না।
স্পেনে কর-সংক্রান্ত সমস্যা মেসিকে সমস্যায় ফেললেও রোনালদোর তুলনায় মেসির ক্যারিয়ারে বিতর্কের মাত্রাটা কমই ছিল। তবে মেসিও আয় বাড়ানোর দিকে সব সময় সচেতন দৃষ্টি রেখেছেন। যেমন বার্সেলোনায় তাঁর ক্রমাগত বেতন বৃদ্ধি একসময় বিভক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা শেষ পর্যন্ত তাঁকে পিএসজি যাওয়ার পথ করে দিয়েছে।
মার্কেটিং এজেন্সি হোপারের দেওয়া তথ্যমতে, ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের পর থেকে ছয়টি ভিন্ন স্পনসর করা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে মেসি আয় করেছেন ১ কোটি ৬ লাখ ডলার। এ সবকিছু যে দারুণ আকর্ষণীয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ক্লাব বেতনের দিকে তাকালে দুজনের অবস্থান আবার ভিন্ন। সম্প্রতি আল নাসরে ২১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বেতনে যোগ দিয়েছেন রোনালদো, যা কিনা পিএসজিতে মেসির বেতনের চেয়ে অনেক বেশি।
তবে বয়সের দিক থেকে রোনালদোর চেয়ে মেসি দুই বছরের ছোট। ফলে শেষ ভাগে বড় ধরনের আর্থিক উল্লম্ফন দেখবেন ৭ ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা। তাঁর পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শোনা যাচ্ছে। যেখানে গেলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে তাঁরও।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত নাম-ডাক এবং এত অর্থ আয়ের পর কেন একজন মানুষ আরও বেশি উপার্জনের দিকে চোখ রাখবেন। এত অর্থ কি তাঁরা কখনো খরচ করতে পারবেন? বাস্তবতা হচ্ছে, একজন মানুষ যতই বিত্তবান হোন না কেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে শত কোটি টাকার আয়ের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন। তবে অর্থের এমন হাতছানির মাঝে ঝুঁকিও দেখেন ক্রো।
তিনি বলেন, ‘এমন মানুষের অভাব নেই, যারা চায় মেসি তাঁর ব্র্যান্ডটি তাদের ধার দিক। তবে পেলে যখন সাবওয়ের (স্যান্ডউইচ চেইন) দূত হন, তা অনেক মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল।’
সব মিলিয়ে মেসি-রোনালদো তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য যে পরিকল্পনায় করুন না কেন, দুর্দান্ত ক্যারিয়ারের শেষে দিকে এসে একটি বিষয় স্পষ্ট, যদি অর্থ উপার্জনের কথা বলা হয়, তবে এখনকার মতো সময় আর পাওয়া যাবে না।