কন্তের টটেনহাম-অধ্যায় শেষ
খেলোয়াড় ও ক্লাব মালিকের প্রকাশ্য সমালোচনা যেদিন করেছিলেন, সেদিনই বোঝা গিয়েছিল আন্তোনিও কন্তের টটেনহাম-অধ্যায় যেকোনো মুহূর্তে থেমে যেতে পারে। ঠিক এক সপ্তাহ পরই এল ঘোষণাটা। টটেনহাম জানিয়েছে, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে কোচ কন্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছে তারা। মৌসুমের বাকি সময়টা টটেনহামের ডাগআউট সামলাবেন কন্তের সহকারী ক্রিস্টিয়ান স্তেলিনি।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় টটেনহামের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাব চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে ১০ ম্যাচ বাকি আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা ধরে রাখার লড়াইটা এখনো আমাদের হাতেই আছে। এ সময় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে সম্ভব সর্বোচ্চ অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করতে পারি।’
প্রিমিয়ার লিগে টটেনহাম এখন ২৮ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে। যা তৃতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এক পয়েন্ট কম আর পঞ্চম স্থানে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি। দুটি দলই অবশ্য ম্যাচ খেলেছে ২৬টি করে।
সাবেক চেলসি, জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলান কোচ কন্তে টটেনহামের দায়িত্ব নেন ২০২১ সালের নভেম্বরে। ক্লাবের কৌশল আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ঘাটতিতে কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন এই ইতালিয়ান কোচ।
এ বিষয়ে একাধিকবার আলাদাভাবে নিজের মতও তুলে ধরেছেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত যার বিস্ফোরণ ঘটে গত সপ্তাহে টটেনহাম-সাউদাম্পটন ম্যাচের পর। সেদিন ৩-১-এ এগিয়ে যাওয়ার পরও শেষ ১৫ মিনিটে দুই গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়েন কেইন-সনরা।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড় আর ক্লাব কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেন কন্তে। খেলোয়াড়েরা স্বার্থপর উল্লেখ করে বলেন, ‘মাঠে ১১ জন খেলোয়াড় নামে। কিন্তু আমি দেখি স্বার্থপর খেলোয়াড় নামছে। তারা একে অপরকে সাহায্য করে না। হৃদয় দিয়েও খেলে না।’
টটেনহামের শিরোপা-খরা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘টটেনহামের গল্পটা হলো-২০ বছর ধরে দলের একই মালিক আছে, কিন্তু তারা কিছুই জিততে পারেনি। কেন? এটা কি শুধু ক্লাবের সমস্যা, নাকি যেসব কোচ এখানে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের সমস্যা? আমি টটেনহামের বেঞ্চে অনেক কোচ দেখেছি। আপনি কোচের সংখ্যা বদলে প্রতিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।’
এত দিন পরিস্থিতি আড়াল করে গেছেন জানিয়ে বলেছেন, ‘কিন্তু এখন আর নয়।’ সেই সময়ই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কন্তে।