নেইমারের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন
গত মাসে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। পরে জানা গিয়েছিল, তাঁর বাঁ পায়ের লিগামেন্ট ও মেনিসকাসিস ছিঁড়ে গেছে এবং অস্ত্রোপচার করাতে হবে। গতকাল ব্রাজিলের একটি হাসপাতালে নেইমারের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
৩১ বছর বয়সী ব্রাজিল তারকার অস্ত্রোপচার করেছেন জাতীয় দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার। পরে লাসমার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আমরা ফল নিয়ে সন্তুষ্ট। তার লিগামেন্টের তন্তু পুনর্গঠনের সঙ্গে মেনিসকাসিসে দুটি চোটও ঠিক করা হয়েছে।’
নেইমার ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় অস্ত্রোপচারের খবরটি অনুসারীদের জানিয়ে বলেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। সব ঠিক আছে...এখন সেরে ওঠায় ধৈর্য ও শক্তি চাই।’
লাসমার জানিয়েছেন, বেলো হরিজেন্তোর মাতের দেই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর আরও ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নেইমারকে অবস্থান করতে হবে। ২০১৮ সালে নেইমারের পায়ের পাতার চোটেও অস্ত্রোপচার করেছিলেন লাসমার।
গত ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ২–০ গোলে হারের ম্যাচে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াই চলছিল ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের। দে লা ক্রুজের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান। মাঠে পড়ে যাওয়ার আগে নেইমার বাঁ পা ঠিকমতো ফেলতে পারেননি। তখন শঙ্কা জেগেছিল, নেইমারের সম্ভবত হাঁটু মচকে গেছে। তবে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছিল, নেইমারের লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পরে নেইমারের পায়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়, হাঁটুর মাঝের লিগামেন্ট তন্তু ছিঁড়ে গেছে। ফুটবলে এটি খুব বিপজ্জনক চোটগুলোর একটি। গত মাসে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছিল, নেইমারকে সাত–আট মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। আগামী বছর কোপা আমেরিকায় খেলা নিয়েও শঙ্কা আছে। অর্থাৎ এ মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে নেইমারকে ব্রাজিলের জার্সিতে দেখার কোনো সম্ভাবনা নেই।
পিএসজি ছেড়ে গত আগস্টে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দেন নেইমার। চোটের সঙ্গে লড়াইটা তাঁর জন্য নতুন নয়। এর মধ্যেই গত সেপ্টেম্বরে পেলেকে টপকে ব্রাজিলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়েছেন নেইমার।