অলিম্পিক ফুটবল: আর্জেন্টিনার নালিশ প্রত্যাখ্যান ফিফার

সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরএএফপি

প্যারিস অলিম্পিকে ছেলেদের ফুটবল ইভেন্টে গত বুধবার মরক্কোর বিপক্ষে বিতর্কিত ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। ‘নিয়মের বরখেলাপ’ হয়েছে দাবি করে সে ম্যাচের পর ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। আজ ইরাকের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ফিফা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন

মরক্কোর বিপক্ষে সেই ম্যাচ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সেঁত এতিয়েনে নির্ধারিত সময়ে মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। যোগ করা সময় দেওয়া হয়েছিল ১৫ মিনিট। আর্জেন্টিনা দল সমতাসূচক গোলটি পেয়েছে ১৬তম মিনিটে। এরপরই মরক্কোর সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে পড়েন। রেফারি দুই দলের খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে পাঠান।

প্রায় দুই ঘণ্টা পর ম্যাচটি পুনরায় শুরু করা হয় এবং তার আগে ভিএআরের মাধ্যমে অফসাইডের কারণে আর্জেন্টিনার সমতাসূচক গোলটিও বাতিল করা হয়। ম্যাচ পুনরায় শুরুর পর খেলা হয়েছে মাত্র ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড। আর্জেন্টিনা এ সময়ের মধ্যে গোল না পাওয়ায় ২-১ গোলের হার নিয়ে ফিরতে হয়। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের কোচ হাভিয়ের মাচেরানো বলেছিলেন, এই ম্যাচটি তাঁর ‘জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস।’

মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে বিতর্কিতভাবে হেরেছিল আর্জেন্টিনা
রয়টার্স

ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার অভিযোগ নাকচ করার খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ জানিয়েছেন এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া, ‘মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিশন। নিজেদের অধিকার রক্ষায় এএফএ জানতে চাইবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো এবং আপিল করা যায় কি না, সেটাও ভাবা হবে।’

আরও পড়ুন

মরক্বোর বিপক্ষে বিতর্কিত ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মেসি লেখেন, ‘ইনসোলিতো’—বাংলায় যার অর্থ ‘অবিশ্বাস্য’। সঙ্গে একটি বিস্ময়ের ইমোজিও ব্যবহার করেছেন মেসি।

মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পল দলকে সমর্থন জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি তোমাদের পাশে আছি। তোমরা সবাইকে হারাতে পারো।’

মেসি-দি পলদের আরেক সতীর্থ নিকোলাস তালিয়াফিকো এক্সে লেখেন, ‘সার্কাস ছাড়ুন। আমরা কি ম্যাচ স্থগিত করার কারণ সম্পর্কে কথা বলছি নাকি বোকাদের মতো কাজ করছি? যদি এর উল্টোটা হতো (প্রতিপক্ষ গোল করত কিংবা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে বোতল, অগ্নিশিখা ছুড়ে মারা হতো), তাহলে তারা কী বলত, আমি কল্পনাও করতে পারছি না।’