নাটকীয় ম্যাচ জিতে শেষ আটে চেলসি

চেলসির দুই গোলদাতা স্টার্লিং ও হাভার্টজছবি: রয়টার্স

এই ম্যাচটির ওপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে হারলে আজ রাতেই শেষ হয়ে যেতে পারত গ্রাহাম পটারের চেলসি-অধ্যায়। পাশাপাশি নিশ্চিত হয়ে যেত চেলসির আরেকটি ব্যর্থ মৌসুমেরও। প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসায় কাজটা কঠিনও ছিল। তবে নাটকীয় ম্যাচে সেই কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছে চেলসি। ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতে (দুই লেগ মিলিয়ে ২-১) শেষ আটের টিকিট পেয়েছে তারা।

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ম্যাচটিতে শুরু থেকেই আক্রমণকে পাখির চোখ করেছিল দুই দল। কিন্তু আক্রমণে ডর্টমুন্ডের চেয়ে চেলসিই বেশি এগিয়ে ছিল। দুই একবার কাছাকাছিও গিয়েছিল তারা। তবে গুছানো আক্রমণ না হওয়াতে পাওয়া হচ্ছিল না গোল।

এর মাঝে ডর্টমুন্ড ধাক্কা খায় তাদের উইংগার হুলিয়ান বেনেডিত চোটে পড়ে মাঠ ছেড়ে গেলে। অন্য দিকে চেলসিকে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়তে হয় ম্যাচের ১৭ মিনিটে। তবে ফ্রি-কিক থেকে মার্কো রিউসের শটে পুরো শরীর এলিয়ে দিয়ে হাত ছুঁয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে চেলসিক রক্ষা করেন গোলরক্ষক কেপা।

আরও পড়ুন

২৮ মিনিটে চেলসির এগিয়ে যাওয়ার পথে দেয়াল তুলে দেয় গোল পোস্ট। কাই হাভার্টজের শট পোস্টে লাগায় হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। একটু পর অবশ্য দাপুটে খেলে চেলসি বল ঠিকই জালে জড়ায়, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হতে হয় ব্লুজদের।

খানিক পর আবার গোল মুখ থেকে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় চেলসিকে। তবে আর ভুল হয়নি ম্যাচের ৪৩ মিনিটে। দারুণ এক গোলে লক্ষ্যভেদ করে চেলসিকে এগিয়ে দেন রহিম স্টার্লিং। এই গোলের পর দুই লেগ মিলিয়েও ফিরেছে ১-১ গোলের সমতাও। বিরতিতে যাওয়ার আগে ডর্টমুন্ড চেষ্টা করে গোল শোধ করতে। তবে গোল পায়নি তারা।

চেলসি খেলোয়াড়দের গোল উদ্‌যাপন
ছবি: রয়টার্স

বিরতির পরও দাপট ছিল চেলসির। মাত্র দুই মিনিট পর পেনাল্টিও পেয়ে যায় তারা। বেন চিলওয়েলের শট ডি-বক্সের ভেতর মারিয়ুস উলফের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় চেলসি। তবে প্রথমবার শট নিয়ে নিতে গিয়ে গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠালেও, নিজে পোস্টে মারেন হাভার্টজ।

কিন্তু শট নেওয়ার আগে ডর্টমুন্ড খেলোয়াড় বক্সে চলে আসায় আবার পেনাল্টি শট মারার সুযোগ পায় চেলসি। এবারও আগের বারের মতো গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে একই জায়গায় শট নেন হাভার্টজ। তবে এবার আর পোস্টে লাগেনি। বল পোস্ট ছুঁয়ে প্রবেশ করে জালে।

আরও পড়ুন

পেনাল্টি দেওয়া এবং দ্বিতীয়বার পেনাল্টি শট নিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা। রেফরির সঙ্গে তর্কও করেন তারা। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি। পিছিয়ে পড়ে অবশ্য একের পর এক আক্রমণে গিয়ে গোল আদায়ের চেষ্টা করে ডর্টমুন্ড। শেষ দিকে রীতিমতো আক্রমণের ঝড় তুলে তারা, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ‍২-১ গোলে জিতে শেষ আট নিশ্চিত করেছে চেলসি।

বেনফিাক গনসালো রামোসের গোল উদ্‌যাপন
ছবি: রয়টার্স

বেনফিকার গোল উৎসব

রাতের অন্য ম্যাচে ক্লাব ব্রুগাকে গোলে ভাসিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছে বেনফিকা। ঘরের মাঠে বেনফিকা জিতেছে ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে বেনফিকা জিতেছে ৭-১ গোলে। এ ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন পর্তুগিজ তারকা গনসালো রামোস।