হামজাকে কোন পজিশনে খেলাবেন কাবরেরা
মূলত তিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। যে ক্লাবে খেলে হামজা চৌধুরী সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন, সেখানে এই পজিশনেই সবচেয়ে বেশি খেলেছেন। তবে লেস্টার সিটির বয়সভিত্তিক দল, ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দল, বার্টন, ওয়াটফোর্ড ও শেফিল্ড ইউনাইটেডে দলের প্রয়োজনে অন্য পজিশনেও খেলেছেন। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, লেফট ব্যাক, রাইট ব্যাক, সেন্টার ব্যাক এবং উইঙ্গার হিসেবেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এখন বাংলাদেশের জার্সিতে কোন পজিশনে খেলেন হামজা, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
সাধারণত একজন ফুটবলারের মাঠের পজিশন ঠিক করে দেন তাঁর কোচ। যদিও সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের দক্ষতা ও তাঁর মতামতকেও এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তেমনটা হলে বাংলাদেশের জার্সিতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেই হামজাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফুটবলের পরিসংখ্যান টুকে রাখা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ট্রান্সফার মার্কেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১১৫ ম্যাচই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেছেন হামজা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ ম্যাচে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে দেখা যায় তাঁকে। এ ছাড়া ১৮ ম্যাচে রাইট ব্যাক হিসেবে, ৪ ম্যাচে সেন্টার ব্যাকে, ২ ম্যাচে উইঙ্গার আর একটি ম্যাচ খেলেছেন লেফট ব্যাক পজিশনে।
তবে হামজা যেহেতু মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, লাল-সবুজ জার্সিতেও তাঁকে ওই পজিশনেই দেখা যাবে বলে মনে করেন সাবেক ফুটবলার ও কোচ গোলাম সারোয়ার, ‘দু–একটা ম্যাচ খেলালেই কোচ বুঝে ফেলবেন তাকে কোথায় খেলাতে হবে। যদি তেমন সুযোগ না হয়, তাহলে অনুশীলন সেশনেই ধারণা পেয়ে যাবেন তিনি। তা ছাড়া তার নিজেরও একটা পছন্দ থাকতে পারে। যেহেতু সে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেই বেশি খেলেছে, আমার মনে হয় সেই পজিশনেই ভালো হবে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ দলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জামাল ভূঁইয়ার। মাঝেমধ্যে তাঁকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও খেলতে দেখা যায়। হামজা যদি এই পজিশনে খেলেন, জামালের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে কোচ কাবরেরাকে। জামাল একা নন, জাতীয় দলে এখন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আছেন আরও দুজন—পাপন সিংহ ও মোহাম্মদ হৃদয়। সে ক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে একাদশ সাজাতে মধুর যন্ত্রণায় পড়তে হতে পারে স্প্যানিশ কোচকে।
একাধিকবার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বে থাকা গোলাম সারোয়ার অবশ্য হামজার পজিশন বা মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন, ‘এটা খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমার মনে হয়, মানিয়ে নেওয়াটা হামজার জন্য খুব একটা অসুবিধা হবে না, এখন আমাদের ফুটবলাররা কতটুকু তাকে সহযোগিতা করতে পারে, সেটাই চিন্তার বিষয়। আমাদের খেলোয়াড়দের খুব বেশি নাড়াচাড়া করলেও তো তারা খেই হারিয়ে ফেলবে।’
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে দেশের হয়ে অভিষেক হবে হামজার। তার আগে মঙ্গলবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই তারকার। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকায় অনুশীলন সেশন শেষে ২৩ জনের চূড়ান্ত দল নিয়ে ২০ মার্চ শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা করবে বাংলাদেশ।