হাঙ্গেরি ১ : ৩ সুইজারল্যান্ড
প্রতিবেশী দেশ জার্মানিতে খেলা। সুইজারল্যান্ডের সমর্থকেরা গ্রানিত জাকা–ইয়ান সোমারদের অনুপ্রেরণা জোগাতে দল বেঁধে জার্মানিতে যাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।
প্রত্যাশিতভাবে কোলনের রাইনএনার্গি স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া ৪২ হাজার দর্শকের বেশির ভাগই ছিলেন সুইস। স্টেডিয়ামকে তাঁরা লাল সমুদ্রে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তাঁদের সমর্থন পেয়েই ‘পরের মাঠে ঘরের আবহে’ উজ্জীবিত হয়ে উঠল সুইজারল্যান্ড দল। ইউরোয় নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হাঙ্গেরির বিপক্ষে তুলে নিল ৩–১ ব্যবধানের দাপুটে জয়।
‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে আজ সুইজারল্যান্ডের হয়ে গোল তিনটি করেছেন কেওয়াদয়ো দুয়াহ, মিখেল এবিশার ও ব্রেল এমবোলো। হাঙ্গেরির সান্ত্বনাসূচক গোলটি এসেছে বার্নাবাস ভারগার হেড থেকে।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে সুইজারল্যান্ডের কাছে টানা ৪ ম্যাচ হারল হাঙ্গেরি। সুইসদের বিপক্ষে হাঙ্গেরিয়ানদের সর্বশেষ জয়টি সেই ১৯৯৮ সালে, সেটিও প্রীতি ফুটবলে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে হাঙ্গেরির চেয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে থাকা সুইজারল্যান্ড ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ফল পায় ১২ মিনিটেই। মিখেল এবিশার দারুণ এক পাস থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান কেওয়াদয়ো দুয়াহ। ঘানাইয়ান বংশোদ্ভূত এই ফরোয়ার্ডের মাত্র ১২ দিন আগেই সুইজারল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। আজ আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই পেলেন গোলের দেখা।
বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে ব্যবধান ২–০ করেন এবিশার। দূরপাল্লার শটে বুলেট গতির শটে এবিশারের গোলটি অনেক দিন চোখে লেগে থাকার মতো।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বাঁ পাশ থেকে হাঙ্গেরিয়ান অধিনায়ক ও লিভারপুল তারকা ডমিনিক সোবোসলাইয়ের দারুণ এক ক্রস থেকে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান বার্নাবাস ভারগার। এই গোলে ব্যবধান কমানোর পর হাঙ্গেরিয়ানদের শরীরী ভাষাও বদলে যায়। বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণিয়ে সমতা ফেরানোর সুযোগও সৃষ্টি করে। তবে সুইজারল্যান্ডের জমাট রক্ষণ হাঙ্গেরিকে ম্যাচে ফিরতে দেয়নি।
উল্টো যোগ করা সময়ে আরেক গোল খেয়ে বসে হাঙ্গেরি। ম্যাচে সমতা ফেরানোর আশায় শেষ দিকে হাঙ্গেরির বেশির ভাগ খেলোয়াড় ওপরে উঠে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করেন ব্রেল এমবোলো। গোলকিপার পিওতর গুলাচিকে একা পেয়ে ফাঁকি দিতে ভুল করেননি এ এস মোনাকোর এই ফরোয়ার্ড।