২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

টাইব্রেকারে যেভাবে ‘খেলেছিলেন’ মার্তিনেজ

মেয়েকে কোলে নিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে এমিলিয়ানো মার্তিনেজরয়টার্স

এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বনাম ফ্রান্সের ৫ জন—আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকার ছিল এমনই। মাঠে সেটির প্রমাণও দিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

মার্তিনেজের বিপক্ষে নেওয়া ৪টি পেনাল্টি শটের দুটিই মিস করে ফ্রান্স। এর মধ্যে কিংসলি কোমানের নেওয়া শটটি ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন মার্তিনেজ। আর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনি নিজেই শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে মার্তিনেজ এখন আর্জেন্টিনায়। বুয়েনস এইরেসে নজিরবিহীন গণ–অভ্যর্থনার পর সংবর্ধনা পেয়েছেন নিজের এলাকা মার দেল প্লাতায়ও। সেখানে ফাইনালে টাইব্রেকারের গল্প শুনিয়েছেন মার্তিনেজ। জানিয়েছেন চুয়ামেনির পেনাল্টি মিসের পর শরীর দুলিয়ে নাচের ‘রহস্য’ও।

আরও পড়ুন

ফাইনালে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম পেনাল্টিটি নিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শটটি মার্তিনেজ ঠেকাতে পারেননি। তবে উগো লরিসকে ফাঁকি দিয়ে লিওনেল মেসিও বল জালে পাঠিয়ে দিলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা।

ফ্রান্সের এক বা একাধিক শট রুখে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস ছিল মার্তিনেজেরও। কিংসলি কোমানের নেওয়া দ্বিতীয় শটটি সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই প্রতিহত করে দেন তিনি।

বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে কিংসলি কোমানের শট প্রতিহত করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ
রয়টার্স

কোমানের শট প্রতিহত হওয়ার পর ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। আর সেটি কাজে লাগাতে আরও ভয় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় খেলোয়াড় পাওলো দিবালার শট গোল হওয়ার পর বল পোস্টের সামনে পড়ে ছিল। পরের শটটি নিতে আসছিলেন ফ্রান্সের চুয়ামেনি।

মার্তিনেজ বলটি হাতে নিয়ে রেফারি ও চুয়ামেনিকে উদ্দেশ করে কী যেন বলতে শুরু করেন। চুয়ামেনি যখন বল নিতে এগিয়ে আসেন, মার্তিনেজ সেটিকে বাইরের দিকে ছুড়ে মারেন। বেশ কিছু দূর হেঁটে গিয়ে বলটি কুড়িয়ে এনে জায়গায় বসান চুয়ামেনি।
মূলত ফ্রান্স দলে চাপের মুহূর্ত দীর্ঘায়িত করতে এবং চুয়ামেনির মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ওই কৌশল নেন মার্তিনেজ।

আরও পড়ুন

সেই ঘটনার বর্ণনায় মার্তিনেজ বলেন, ‘প্রথম পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে দেওয়ার পর জানতাম, ওরা সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবে। আমি তখন মনস্তাত্ত্বিক খেলা শুরু করলাম। দূরে বল ছুড়ে মারলাম, চুয়ামেনির সঙ্গে কথা বলা শুরু করলাম। এরপর শট নিতে গিয়ে বলটা ও বাইরে মেরে দিল।’

চুয়ামেনির শট মিস হওয়ার পর শরীর দুলিয়ে নেচে উঠেছিলেন মার্তিনেজ। ওই নাচের রহস্য কী? নিজের এলাকার মানুষের কাছে জবাবটা দিয়েছেন মার্তিনেজ, ‘ওই মুহূর্তে নাচটা এমনিই চলে এসেছিল। জানতাম, পেনাল্টিতে আমি ভালো করব। এটাও জানতাম, প্রতিপক্ষ আমাকে সমীহ করে, সেটা তারা আগে বলেছেও।’

আরও পড়ুন