চোখধাঁধানো যে গোলে পুসকাস পুরস্কার জিতলেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান
ফুটবলে কখনো কখনো সবকিছু ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠতে পারে একটি মুহূর্তে। সেটি একটি ড্রিবলিং, একটি সেভ কিংবা দারুণ কোনো ট্যাকলও হতে পারে। তবে সেই দারুণ মুহূর্তগুলোর অন্যতম যে গোল করার মুহূর্ত, তা না বললেও চলে।
সারা বছর বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত–অস্বীকৃত ফুটবলে অসংখ্য গোল হয়। সেই গোলগুলোর মধ্যে একটিকে দেওয়া হয় বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার বা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড। হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফুটবলার ফেরেঙ্ক পুসকাস ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দুর্দান্ত সব গোল করার কারণেই পুরস্কারের এমন নাম বেছে নিয়েছে ফিফা।
এই পুরস্কারটি এবার উঠেছে ব্রাজিলিয়ান তরুণ গিলের্মে মাদরুগার হাতে। বোতাফোগোর এই ডিফেন্সিভ মিডফল্ডার বক্সের বাইরে থেকে চোখধাঁধানো ওভারহেড কিকে গোল করে জিতে নিয়েছেন ২০২৩ সালের জন্য বিবেচিত পুরস্কারটি। দর্শক এবং ফুটবল বিশ্লেষকদের ভোটে পুরস্কারটি জয়ের পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন স্পোর্টিং লিসবনের নুনো সান্তোস এবং ব্রাইটনের টিনএজার হুলিও এনসিসোকে। সান্তোস লিসবনের হয়ে করেছেন দারুণ এক র্যাবোনা গোল এবং এনসিসোর গোলটি ছিল দলগত প্রদর্শনীর পর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া নিঁখুত শটের গোল।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাদরুগার অবশ্য গোল করার তেমন অভ্যাস নেই। পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৭ গোল। এমনকি ব্রাজিলিয়ান লিগের সিরি বিতে বোতাফোগোর হয়ে নোভোরিজোনতিনোর বিপক্ষে করা গোলটিই ছিল পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে করা তাঁর একমাত্র গোল। অথচ সেই গোলটিই কি না মাদরুগার হাতে তুলে দিল সারা জীবন মনে রাখার মতো এক পুরস্কার।
সেদিন বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গিয়েছিল বোতাফোগো। বক্সের ভেতর থেকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় হেডে বল ক্লিয়ার করলে সেটি বক্সের বাইরে চলে আসে। এরপর বল মাটিতে পড়ার আগে লেগে থাকা মার্কারকে ছিটকে সেখান থেকেই ওভারহেড কিক নেন মাদুরগা। গোলরক্ষক পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত বলের নাগাল পাননি। আর আকস্মিক করা এই গোলটিই মাদরুগার হাতে তুলে দিয়েছে বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার। এদিন পুরস্কার হাতে মঞ্চে এসে আবেগাপ্লুত হয়েছেন এই তরুণ ব্রাজিলিয়ান।
নিজের পুরস্কার জেতার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ম্যাচের পর আমি গোলের ভিডিওটি আবার দেখি এবং তখন আমি বুঝতে পারি যে কী করেছি। আমার ভাই এবং আমি একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি তাকে বলেছি, “ভাই, এটা কি আমিই করেছি?”’