বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ২: ৩ বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়নস লিগে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের পর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচে পরপর দুইবার পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু তৃতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয়েছে ৩–২ গোলে হেরে।
এই জয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বর স্থানটা সুদৃঢ় করেছে বার্সা। ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ হারে বার্সার পয়েন্ট এখন ১৫। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ১৮। অন্যদিকে এই হারে পয়েন্ট তালিকার ৯–এ নেমে গেছে ডর্টমুন্ড। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।
ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ৫ মিনিটের মধ্যে বার্সেলোনা অন্তত দুটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোল পায়নি। শুরুর ধাক্কা সামলে জবাব দিতে শুরু করে ডর্টমুন্ডও। পরপর একাধিক আক্রমণেও যায় তারা। তবে গোল মেলেনি। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের দারুণ এক পাসে অল্পের জন্য গোল করতে পারেননি রাফিনিয়া।
বার্সার আক্রমণগুলো এ সময় বেশ গোছানো ছিল। শুধু গোলটাই পাওয়া হচ্ছিল না। তবে ম্যাচ যতই এগিয়েছে, বার্সার আধিপত্য কমেছে। পাশাপাশি ডর্টমুন্ডের সুযোগও তৈরি হয়েছে কিছু। বিশেষ করে প্রতি–আক্রমণগুলোয় বেশ ভীতি ছড়িয়েছে তারা। কিন্তু প্রথমার্ধে শেষ পর্যন্ত বার্সার মতো গোল পায়নি তারাও।
বিরতির পরও খেলার গতি ছিল একই রকম। তবে ৫০ মিনিটের সময় বার্সার সমর্থকদের হতাশ করে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। যদিও অফ সাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেই গোল। ডর্টমুন্ডের গোল বাতিলের হতাশার মধ্যেই ম্যাচের ৫৩ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দান ওলমোর থ্রু পাস ধরে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্য ভেদ করেন রাফিনিয়া।
গোলের পর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে আরও কয়েকটি আক্রমণে যায় বার্সা। কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এর মধ্যে পেনাল্টি পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড। বক্সের ভেতর সেরহো গুইরাসিকে পেছন থেকে ফাউল করে পাউ কুবারসি ফেলে দিলে এই পেনাল্টি উপহার পায় স্বাগতিকেরা। স্পট কিক থেকে লক্ষ্য ভেদ করে সেই গুইরাসিই সমতায় ফেরান ডর্টমুন্ডকে। ৬৮ মিনিটে গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল ত্রাতা হয়ে বাঁচিয়ে দেন ডর্টমুন্ডকে।
স্বাগতিকদের ওপর চাপ বাড়িয়ে বার্সা অবশ্য ঠিকই ব্যবধান ২–১ করে ফেলে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। বার্সার প্রথম প্রচেষ্টা কোবেল ফিরিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই বল জালে জড়ান বদলি নামা ফেরান তোরেস। তবে এই লিড ৩ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৭৮ মিনিটে বার্সা গোলরক্ষকের সমানে বেরিয়ে আসার সুযোগ নিয়ে দারুণ এক আক্রমণ নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন গুইরাসি।
তবে জমজমাট ম্যাচে ঠিকই লিড নিয়ে নেয় বার্সা। ৮৫ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত এক শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তোরেস। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে ডর্টমুন্ড, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটি আর আসেনি। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জার্মান ক্লাবটিকে।
একই রাতের অন্য ম্যাচে মোনাকোকে ৩–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল। এই জয়ের পর তালিকার তিনে ওঠে এসেছে ‘গানাররা’। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। এ ছাড়া আরেক ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ২–১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে মিলান।