বাবাকে নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা, তাই পারিবারিক নাম অপছন্দ ফন ডাইকের
ভার্জিল ফন ডাইক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সেরা ডিফেন্ডারদের একজন। গত কয়েক বছরে লিভারপুলের সাফল্যে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। ২০১৮ সালে সাউদাম্পটন থেকে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে লিভারপুল তাঁকে কিনেছিল। ফন ডাইক পারফরম্যান্স দিয়ে হয়েছেন লিভারপুলের ইতিহাসের অংশ। ২০২০ সালে লিভারপুল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩০ বছর পর, এর আগেই ২০১৯ সালে ঘরে তুলেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। একমাত্র ডিফেন্ডার হিসেবে ২০১৯ সালে উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছেন ফন ডাইক।
নেদারল্যান্ডসের এই ফুটবলার সম্পর্কে একটা তথ্য অনেককে অবাক করতে পারে। ফন ডাইক তাঁর নামের শেষাংশ নাকি পছন্দ করেন না। ভার্জিল ফন ডাইক নামের শেষ অংশ ‘ফন ডাইক’ তাঁর পারিবারিক নাম। এই নাম তাঁর পছন্দ না করার কারণ অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা। ফন ডাইক ক্লাব কিংবা জাতীয় দলের জার্সির পেছনেও শুধু ‘ভার্জিল’ লিখতে পছন্দ করেন।
লিভারপুল তারকা নিজে এ তথ্য প্রকাশ করেননি। এটি জানিয়েছেন তাঁর মামা স্টিভেন ফো সিউ। ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য সান’–কে তিনি জানিয়েছেন ভার্জিলের ‘ফন ডাইক’ পারিবারিক নাম পছন্দ না করার কারণ বাবার সঙ্গে সমস্যা।
ডাচ তারকার বয়স যখন ১২ বছর, তখন তিনি পারিবারিক কলহের মধ্যে বড় হয়েছেন। বাবার কারণেই হতো সেই পারিবারিক কলহ। ভার্জিলের বাবা রন ফন ডাইক তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদে জড়াতেন। এমনকি তাঁকে মারধরও করতেন। অন্যত্র বিয়ে করে একপর্যায়ে ভার্জিলের বাবা সন্তানদের ছেড়েও চলে যান। বাবাকে নিয়ে ছোটবেলার এমন তিক্ত অভিজ্ঞার কারণেই লিভারপুল তারকার পারিবারিক নাম অপছন্দ।
ভার্জিল ফন ডাইকের জীবনজুড়ে আছেন তাঁর মা। মামা ফো সিউ বলেছেন, ‘ভার্জিলের জীবনে তাঁর মা–ই’ আসল। বাবার তেমন ভূমিকা নেই। যদিও ওর বাবা খুব একটা খারাপ মানুষ নয়, কিন্তু ভার্জিল তাঁকে ছোটবেলার ঘটনার কারণে পছন্দ করে না। ওর বাবা যখন আমার বোনকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তখন সে তিন সন্তানকে বড় করতে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছে। সে চাকরি করে সংসার চালাত। কাজ থেকে ফিরে সন্তানদের সময় দিত। নিজের জন্য সে একটা মিনিটও খরচ করেনি।’
ভার্জিলের ফুটবলার হয়ে ওঠার পেছনে মামা ফো সিউয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনিই ভার্জিলকে ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁকে ফুটবল অনুশীলনে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও সিউ নিজে কোনো কৃতিত্ব নিতে রাজি হননি। সিউ বলেছেন, ভার্জিলের যা কিছু হয়েছে, তাঁর জীবনে যত অর্জন, সবকিছুর কৃতিত্ব তাঁর বোন, ভার্জিলের মায়ের।