৩৯ ম্যাচে ৪৫ গোল, ‘ভিনগ্রহে’র হলান্ডের ওপর আর কেউ নেই
বায়ার্ন মিউনিখের চূড়ান্ত সর্বনাশটা করেছেন আর্লিং হলান্ডই। কাল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারানোর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির তৃতীয় গোলটি আর্লিং হলান্ডের। আর এ গোলের মাধ্যমে দারুণ এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন নরওয়েজিয়ান ‘গোলমেশিন’। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৪৫ গোল করার কীর্তি গড়লেন হলান্ড।
২০১৭-১৮ মৌসুমে মোহাম্মদ সালাহ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় করেছিলেন ৪৪ গোল। লিভারপুলের মিসরীয় তারকা স্পর্শ করেছিলেন ২০০২-০৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাচ ফুটবলার রুড ফন নিস্টলরয়ের রেকর্ড। নিস্টলরয়ও সেবার সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছিলেন ৪৪ গোল।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে রদ্রির গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। হলান্ড ৭০ মিনিটে সিটির দ্বিতীয় গোলটিরও রূপকার। বের্নার্দো সিলভার করা গোলটিতে আছে তাঁর বড় অবদান। বলটি তৈরি করে হলান্ড তা রীতিমতো তুলে দেন সিলভার পাতে। শেষ পর্যন্ত নিজের রেকর্ডগড়া গোলটি হলান্ড করেন ৭৬ মিনিটে। জন স্টোনের পাস থেকে হলান্ডের গোলটি ছিল পাকা গোলশিকারির মতোই।
২২ বছর বয়সী হলান্ড এ মৌসুমে ৩৯ ম্যাচ খেলে ৪৫ গোল করলেন। সালাহ-নিস্টলরয় দুজনই ৪৪ গোল করেছিলেন ৫২ ম্যাচ খেলে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে সর্বশেষ সাত ম্যাচে হলান্ড ৫ গোল করলেও জার্মান দলটির বিপক্ষে কখনোই বিজয়ী দলে থাকতে পারেননি তিনি। যদিও জার্মান লিগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেই তাঁর তারকা হয়ে ওঠা। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম জয় পেলেন, তাতে গোলও করলেন।
জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক স্ট্রাইকার মারিও গোমেজ ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘দুনিয়ার প্রতিটি দলই এখন হলান্ডকে ভয় পায়। কারণ, সে তো “মানুষ” নয়। সে ভিনগ্রহের। আমি ম্যানচেস্টার সিটিকে অভিনন্দন জানাতে চাই এমন একজন ফুটবলারকে দলের পক্ষে সই করানোর জন্য।’ আড়াই বছর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে থেকে ২০২২ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন হলান্ড। প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই হলান্ড ৯ গোল করেছিলেন।
ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর একের পর এক রেকর্ড হলান্ডের পায়ে লুটিয়ে পড়েছে। হলান্ড ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রথম খেলোয়াড়, যিনি নিজের খেলা প্রথম চার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। সিটির জার্সিতে ঘরের মাঠে পরপর তিন ম্যাচে তিনটি হ্যাটট্রিকও করেছেন, যে রেকর্ড আর কারোরই নেই।