বায়ার্নের ১০ বছরের রাজত্ব কি শেষ হচ্ছে
সেই ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে শুরু। এরপর একেকটা নতুন মৌসুম আসে, শেষ বেলায় ট্রফি হাতে তোলে বায়ার্ন মিউনিখ। এভাবেই চলেছে গত দশ বছর। বায়ার্নের এক দশকের দাপটকে এবার চোখরাঙানি দিচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। বুন্দেসলিগার শিরোপা দৌড়ের নাটাই এখন তাদেরই হাতে, লিগের শেষ ম্যাচ জিতলেই বায়ার্নকে সিংহাসনচ্যুত করে চ্যাম্পিয়ন হবে ডর্টমুন্ড।
এবারের জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন-ডর্টমুন্ড ‘ইঁদুর-বিড়াল’ চলছে অনেক দিন ধরেই। মৌসুমের ৩২ ম্যাচ শেষে ডর্টমুন্ডের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। শনিবার ৩৩তম ম্যাচে লাইপজিগের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরে বড় ধাক্কা খায় বাভারিয়ানরা। বায়ার্ন পিছলে গেলেও এ যাত্রায় স্নায়ু ধরে রেখেছে ডর্টমুন্ড। রোববার সেবাস্তিয়ান হলারের ২ ও ইউলিয়ান ব্রান্ডটের ১ গোলে অগসবুর্গকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় তারা। এ জয়ে ৩৩ ম্যাচ শেষে ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৭০, বায়ার্নের ৬৮।
যার অর্থ, মৌসুমের শেষ ম্যাচটি জিতলেই ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়ন। ডর্টমুন্ড পয়েন্ট খোয়ালেই শুধু বায়ার্নের সুযোগ থাকবে। যদি বায়ার্ন জেতে আর ডর্টমুন্ড হারে তাহলে এক পয়েন্টের এগিয়ে থেকে টমাস টুখেলের দল শিরোপা জিতবে। আর যদি বায়ার্ন জেতে, ডর্টমুন্ড ড্র করে, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট দাঁড়াবে সমান ৭১ করে।
বুন্দেসলিগায় পয়েন্ট সমান হলে দুই দলকে আলাদা করতে হিসেবে নেওয়া হয় গোল ব্যবধান। আপাতত এই জায়গায় এগিয়ে বায়ার্ন। টানা দশ বারের চ্যাম্পিয়নদের গোল ব্যবধান ৫৩, ডর্টমুন্ডের ৩৯।
নিয়মানুযায়ী সব দলের মৌসুমের শেষ ম্যাচটি হবে একই সময়ে। আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটার ডর্টমুন্ড মুখোমুখি হবে পয়েন্ট তালিকায় নয় নম্বরে থাকা মাইনৎসের আর বায়ার্নের প্রতিপক্ষ দশ নম্বরে থাকা কোলন। ডর্টমুন্ডের জন্য সুবিধা হচ্ছে ম্যাচটি হবে নিজেদের মাঠেই। বায়ার্ন খেলতে যাবে কোলনের মাঠে।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে বুন্দেসলিগা আর ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’-র শিরোপার মীমাংসাই শুধু বাকি আছে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি, সিরি আয় নাপোলি আর লা লিগায় বার্সেলোনা। ফরাসি লিগে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন হওয়াও একপ্রকার নিশ্চিত।
ডর্টমুন্ড তাদের পাঁচটি বুন্দেসলিগা শিরোপার সর্বশেষটি জিতেছে ২০১১-১২ মৌসুমে, যেটা ছিল বায়ার্নের দাপট শুরুর ঠিক আগের মৌসুম। আর রেকর্ড ৩১টি ট্রফি জেতা বায়ার্ন তো গত ১০ বছর ধরেই রাজা।