২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ইউক্রেনে যুদ্ধের মধ্যেই প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল

ছয় মাস পর আবার মাঠে ফিরছে ইউক্রেনের ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতাছবি: টুইটার

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ছয় মাস হতে চলল, এখনো যুদ্ধ বন্ধের স্পষ্ট কোনো আভাস নেই। প্রতিদিনই রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে এখানে–সেখানে। প্রতিদিনই বোমার শব্দে কেঁপে উঠছে কোনো না কোনো অঞ্চল, আসছে মৃত্যুর খবর। এমন যুদ্ধের মধ্যেও আগামীকাল থেকে ইউক্রেনে শুরু হতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল (ইউপিএল)। ১৬টি ক্লাব নিয়ে খেলা হবে ১৩টি ভেন্যুতে, যার সবই ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে।

নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে শাখতার দোনেৎস্ক
ছবি: টুইটার


যুদ্ধের মধ্যে খেলা শুরু হচ্ছে খবরে মনে হতে পারে ইউক্রেনের ক্রীড়া স্থাপনা বোধ হয় নিরাপদ ও অক্ষত আছে। বাস্তবতা হচ্ছে যুদ্ধের ঘাত-প্রতিঘাত থেকে বাদ যায়নি স্টেডিয়াম, ক্লাব ভবন আর অনুশীলন মাঠও। স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এবারের আসরে খেলতে পারছে না দেসনা চেরনিহিব এবং মারিউপোল এফসি।

এর মধ্যে মারিউপোল অঞ্চলটি এখন রুশদের দখলে। আর বেলারুশ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত চেরনিহিব এ মুহূর্তে মুক্ত থাকলেও স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় নতুন করে তৈরি করতে হবে। এই দুই ক্লাবের বদলে প্রিমিয়ার লিগে খেলবে পরের ধাপ ফার্স্ট লিগ থেকে উঠে আসা খারকিব ও ক্রিভয়ি রিহ।

তবে গ্যালারিতে আপাতত দর্শক প্রবেশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। খেলা চলাবস্থায় যুদ্ধের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মাঠে এয়ার-রেইড সাইরেন ও বোম্ব শেল্টার-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

ইউক্রেনিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শেষবার খেলা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে, রাশিয়ার আক্রমণের আগে
ছবি: ইউপিএল


ইউক্রেনে সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগের খেলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। রাশিয়ার আক্রমণের কারণে লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এপ্রিলে ২০২১-২২ মৌসুমের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। খেলা বন্ধের আগপর্যন্ত শাখতার দোনেস্ক পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল। লিগের শীর্ষ দল হিসেবে তাই শাখতারকেই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ দিয়েছে উয়েফা। দলটি তাদের ‘হোম’ ম্যাচ খেলবে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে।


শাখতার ছাড়া আরও চারটি ইউক্রেনীয় ক্লাব ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে খেলবে এবার। এর মধ্যে দিনামো কিয়েভ চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফে, এফসি দিনিফ্রো ইউরোপা লিগের প্লে-অফে এবং লুহানস্ক ও পোলটাভা ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলবে। সব ক্লাবকেই হোম ম্যাচ খেলতে হবে ইউক্রেনের বাইরে।