১৪ ম্যাচে ৬ হার, বিপদ বাড়ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
১৪ ম্যাচে ৮ জয়ের বিপরীতে ৬ হার, নেই কোনো ড্র। প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে শীর্ষ দশে থাকা আর কোনো দল এত ম্যাচে হারেনি। যে ধারায় সর্বশেষ সংযোজন গতকাল নিউক্যাসলের বিপক্ষে তাদের মাঠে ১-০ গোলের হার। জয় ও হারের মাঝামাঝিতে কোনো ড্র ম্যাচ না থাকায় শীর্ষ চারের দলগুলোর সঙ্গে ইউনাইটেডের পয়েন্টের ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে।
সাতে নেমে যাওয়া ইউনাইটেডের চেয়ে এই মুহূর্তে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে আছে শীর্ষে থাকা আর্সেনাল। দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে শীর্ষস্থান তো বটেই, সেরা চারের লড়াই থেকেও ছিটকে যেতে হতে পারে ইউনাইটেডকে।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে তাদের মাঠে গতকাল রাতে শুরু থেকেই ভুগেছে ইউনাইটেড। এই ম্যাচে ইউনাইটেড কতটা নখদন্তহীন ছিল, সে প্রমাণ মিলবে একটি পরিসংখ্যানে। এই ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে শট নেয় ২২টি। যার ৪টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৪২ শতাংশ বলের দখল রাখা ইউনাইটেড ৮টি শট নিলেও যার মাত্র একটি তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে।
এর মধ্যেও দু–একটি সুযোগ সামনে এলেও সেগুলোও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। সুযোগ হাতছাড়া করেছে নিউক্যাসলও। কিন্তু এর মধ্যেও আন্তনিও গর্ডন কাজের কাজটি করে দিয়েছেন এবং ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করে ‘ম্যাগপাই’দের এনে দিয়েছেন তিনটি পয়েন্ট, যা তাদের তুলে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে।
মাঝে ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টি জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু গতকাল রাতে আবার হারের মুখ দেখল তারা। সব মিলিয়ে এখন চাপও বাড়তে শুরু করেছে ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগের ওপর।
ম্যাচ শেষে অবশ্য টেন হাগ নিউক্যাসলকেই কৃতিত্ব দিলেন বেশি। তিনি বলেছেন, ‘আজ আমাদের নিউক্যাসলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল ছিল। তারা অনেক উদ্যমী ছিল। আমরা তাদের গোল করার সুযোগ করে দিয়েছি। শেষ দিকে অবশ্য আমরা লড়াই করেছি। আমরা ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে আমরা পয়েন্ট আদায় করতে পারিনি।’
এই মুহূর্তে ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার নাম ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ডের ছন্দহীনতা। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০ গোল করেছিলেন এই ইংলিশ তারকা। কিন্তু এই মৌসুমে ১৮ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা এখন মাত্র ২। দলের অন্যতম গোল স্কোরার এমন বাজে ছন্দ নিয়ে যেকোনো দলের জন্য ম্যাচ জিতে আসা অনেক কঠিন।
যদিও টেন হাগ বিশ্বাস করেন দ্রুতই স্বরূপে ফিরে আসবেন রাশফোর্ড, ‘আমি জানি বিষয়টি সামনে আসবে। মার্কাস এটা নিয়ে অনেক কাজ করছে। আমরা ওর পাশে আছি। ও ছন্দে ফিরে আসবে। অনেক পরিশ্রম করছে রাশফোর্ড। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সমর্থন ও পাবে।’