মেসিকে ছাড়া ‘অচল’ ইন্টার মায়ামি
চোটের কারণে লিওনেল মেসি ছিটকে গিয়েছিলেন আগেই। দলের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়াই মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে নিউইয়র্ক রেড বুলসের মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। তবে মেসিবিহীন মায়ামি নিউইয়র্ক রেড বুলসের কাছে পাত্তা পায়নি। লুইস মরগানের হ্যাটট্রিকে মায়ামির হার ৪–০ গোলের বড় ব্যবধানে।
রেড বুল অ্যারেনায় নিউইয়র্কের এগিয়ে যেতে লাগে মাত্র ৩ মিনিট। এরপর চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে সমতা ফেরাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটেই গোল করে ব্যবধান ২–০ করেন লুইস মরগান। ৬৬ মিনিটে ইন্টার মায়ামির জালে তৃতীয়বারের মতো বল জড়ান উইকেলমান কারমোনা। ৪ মিনিট পর দলের চতুর্থ এবং নিজের তৃতীয় গোলটি করেন মরগান।
ম্যাচ শেষে দলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো, ‘এ ম্যাচে রেড বুলের জয়ের আকাঙ্ক্ষা ছিল, আমাদের ছিল না। যখন একটি দল জয়ের ইচ্ছা ছাড়া এবং কোনো অনুপ্রেরণা ছাড়া খেলতে নামে, আর অন্য দলটি জয়ের জন্য নামে, তখন তারা জিতে যায়।’
মেসি না থাকার কারণে এত বড় হার কি না, জানতে চাইলে মার্তিনো বলেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের না থাকাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিও (মেসি) খেলেনি (সে ম্যাচে ৩–১ ব্যবধানে জিতেছিল মায়ামি)।’ বড় হারের পর এখন এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে মায়ামি। ৬ ম্যাচে মায়ামির পয়েন্ট ১০, আর শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ১১।
ম্যাচ হারের সঙ্গে এদিন আরও একটি কারণে সমালোচিত হয়েছে ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দেরি করে মাঠে নামে তারা। সে সময় মায়ামির খেলোয়াড়দের জন্য রেড বুলকে মাঠে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মায়ামির এমন আচরণ হিসেবে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন ফুটবলার টেলর টুয়েলম্যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ইন্টার মায়ামি যা করল, তা পুরোপুরি হাস্যকর।’
এমএলএসে ইন্টার মায়ামি নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে ৩১ মার্চ নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে। ঘরের মাঠে সে ম্যাচেও মেসি পাবে না দলটি। ৩ এপ্রিল কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে মন্টেরির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফেরার কথা আর্জেন্টাইন অধিনায়কের।