ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল
ঢাকা অঞ্চলের জমকালো উদ্বোধন, প্রথম ম্যাচেই গতবারের রানার্সআপ ফারইস্টের গোল–বন্যা
সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাঠে ফিরে এসেছে ফুটবল–উৎসব। ইস্পাহানি-প্রথম আলো দ্বিতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ২৪টি দল নিয়ে ঢাকার আঞ্চলিক পর্বের উদ্বোধন হয়েছে আজ এই মাঠে।
গত বছর আগস্টে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাঠেই হয়েছিল ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ঢাকার আঞ্চলিক ও চূড়ান্ত পর্বের খেলা। এবারও ঢাকার আঞ্চলিক ও চূড়ান্ত পর্ব—দুটিই হবে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছায়াঘেরা স্নিগ্ধ ক্যাম্পাসে।
সকাল সাড়ে আটটায় টুর্নামেন্টের ঢাকা অঞ্চলের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ৭০-৮০ দশকের দুজন তারকা ফুটবলার। নাম দুটি সবার কাছেই পরিচিত—ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির প্রধান ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু এবং টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ আলোকিত করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এম লুৎফর রহমান, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ড. মো. মুঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) ওমর হান্নান, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (বিপণন) এইচ এম ফজলে রাব্বি, বাফুফের হেড অব রেফারিজ ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সাবেক ফিফা রেফারি আজাদ রহমান ও প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র।
অতিথিরা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকাসহ অন্যান্য পতাকা উত্তোলন করেন। পরে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তাঁরা সার বেঁধে দাঁড়িয়ে ম্যাচ উপভোগ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ‘গত বছর প্রথম আয়োজন শেষে আয়োজকেরা বলেছিল, পরেরবার টুর্নামেন্টের পরিধি আরও বাড়বে, সেটি বেড়েছে। এটা খুবই ভালো দিক। আশা করি, ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টটি আরও বেশি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এম লুৎফর রহমান টুর্নামেন্টের সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি। আশা করি, ভালোভাবেই টুর্নামেন্টটা শেষ হবে এবং আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।’
ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) ওমর হান্নান খুশি পুরো আয়োজন নিয়ে। তাঁর কথা, ‘আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে টুর্নামেন্টটা শুরু করেছিলাম, সেই লক্ষ্য অর্জন হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও এগিয়ে নিতে চাই।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গতবারের রানার্সআপ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মুখোমুখি হয় প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি। ফারইস্ট কেন গত বছর রানার্সআপ হয়েছিল, এই প্রমাণ তারা এবার প্রথম ম্যাচেই দিয়েছে, ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্সিকে। ফারইস্টের হয়ে খেলেছেন জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়।
ফারইস্টের ৯ গোল করেন ৫ জন মিলে। দুটি করে গোল করেন এম এস বাবলু ও সোহেল রানা। তবে তাঁদের ছাপিয়ে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন আরিফ হোসেন শরীফ। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ড. মো. মুঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজার রফিকুল আজম।