খেলা ভুলে মেসিকে মুগ্ধ চোখে দেখেন তিনি
লিওনেল মেসির খেলা গোটা দুনিয়া মুগ্ধ চোখে দেখে। এমনকি তাঁর খেলা দেখার লোভ সামলাতে পারেন না সতীর্থরাও। ইন্টার মায়ামিতে মেসির কানাডিয়ান সতীর্থ কামাল মিলারও বলেছেন, মেসির খেলা দেখতে গিয়ে তিনি নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে পারেন না।
মেসিকে দেখে মুগ্ধতার কথা জানাতে গিয়ে কামাল বলেছেন, ‘মেসি মাঠে না থাকলে আমরা বুঝে যাই নিজেদের খেলার মানটা বাড়াতে হবে। সে মাঠে থাকলে আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিই এবং জায়গা তৈরি করি। ম্যাচটা তখন যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করাই হয় আমাদের কাজ। (মাঠে) কখনো কখনো নিজের দায়িত্ব ভুলে মেসিকে দেখি। তার খেলা উপভোগ না করাটা খুব কঠিন, আর এর চেয়েও কঠিন হলো মাঠে তার মতো কেউ উপস্থিত থাকতে নিজের খেলায় মনোযোগ দেওয়া।’
মেসি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর থেকেই তো চলছে ‘মেসিম্যানিয়া’। মায়ামির প্রতি ম্যাচেই টিকিটের দাম ওঠে আকাশচুম্বী। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) অভিষেকেই গোল করা মেসি প্রতিদানও কম দিচ্ছেন না। মায়ামির হয়ে এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। জিতিয়েছেন লিগস কাপের শিরোপাও। এরপরও মেসিকে দেখে সতীর্থ কামাল মিলারের এতটুকু মনে হচ্ছে না, আর্জেন্টাইন তারকার আগমনে তাঁরা সবাই ঢাকা পড়েছেন। বরং কিংবদন্তির খেলায় অবদান রাখতে পেরে মেসির মায়ামি-সতীর্থরাও খুশি।
কামাল মিলারের কথায় তা–ই মনে হবে। এমএলএসে নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে জয়ের পর মেসির নেতৃত্বগুণ এবং খুব কাছ থেকে তাঁর খেলা দেখা নিয়ে কথা বলেছেন কানাডার এই ডিফেন্ডার। আর্জেন্টাইন তারকা এখন মায়ামিতে তাঁর বাকি সতীর্থদের নিয়ন্ত্রণ করছেন—নিন্দুকেরা এর আগে এমন মন্তব্যও করছেন। সংবাদমাধ্যমে তার জবাবে কামাল মিলার বলেছেন, ‘মেসি যে দলে খেলবে, সে দলকেই নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তাই লোকে যখন বলে সে আমাদের পরিচালিত করছে, সেটা আমাদের জন্য মোটেও অপমানজনক কিছু নয়।’
মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর যে শহরেই খেলতে যাচ্ছেন, সেখানেই অকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কানাডার হয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলা কামাল মিলার, ‘আমরা যত শহরে গিয়েছি, তার মধ্যে নিউইয়র্কে সমর্থন পেয়েছি সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে মেসির জন্য। এটা অনেকটাই পরাবাস্তবের মতো। এই বিশ্বে সেই একমাত্র মানুষ যে এমন সম্মানের যোগ্য।’