মেসির বাসার দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা দুই চোরের
পরিবার নিয়ে লিওনেল মেসির জীবন কাটছে প্যারিসে। পিএসজির হয়ে খেলায় প্যারিসই আর্জেন্টাইন তারকার বর্তমান ঠিকানা। কিন্তু যে অতীত ঠিকানা ফেলে এসেছেন, সেই বার্সেলোনাতেও বাড়ি আছে মেসির। আর সেই বাড়িতে ঢুকেই চুরির চেষ্টা করেছেন দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
স্প্যানিশ ফ্রি টু এয়ার টিভি চ্যানেল ‘অ্যান্টেনা ৩’–এর ‘অ্যান্ড নাও সনসোলেস’ অনুষ্ঠানে এই দাবি করা হয়। এ অনুষ্ঠানে করা দাবির বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ল্যান্স।’
বার্সেলোনা শহরের কাস্তেলদেফেস অঞ্চলে বাড়ি আছে মেসির। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর সেই বাড়ির সীমানায় ঢুকে পড়েন। বাগানের ভেতর দিয়ে গিয়ে বাসার দরজা ও জানালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সফল হতে পারেননি।
পরে গ্যারাজ দিয়েও ঢোকার চেষ্টা করেছিল চোরেরা। কিন্তু ব্যর্থ হতে হয় সেখানেও। পুলিশ আসার আগেই চোরেরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে ‘ল্যান্স।’ দুই চোরের এই আসা–যাওয়ার ভিডিও ধরা পড়েছে মেসির বাসার নিরাপত্তা ক্যামেরায়। কালো হুডি পরে এসেছিল দুই চোর।
কাতালান ক্লাব বার্সেলোনায় ২১ বছর কেটেছে মেসির। ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সাফল্য এ ক্লাবেই পেয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কিংবদন্তি হিসেবে। বার্সার মাঠ ক্যাম্প ন্যু থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে কাস্তেলদেফেস অঞ্চলে মেসির বাসা। সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, ২০১৩ সালে ২১ লাখ ডলারে বাড়িটি কেনার পর সেখানে আরও ৭০ লাখ ডলার খরচ করেন মেসি।
আর্জেন্টাইন তারকা ওই অঞ্চলে যাওয়ার পর সেখানকার বাসাবাড়ির দাম নাকি বেড়ে গিয়েছিল। কোনো বাড়ির ন্যূনতম দাম বেড়ে দাঁড়ায় অন্তত ৫০ লাখ ডলার।
মেসির বিলাসবহুল এ বাড়িতে একটি ফুটবল খেলার মাঠ আছে। বাগানের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা আছে, যেখানে পরিবার নিয়ে রাতের খাবারও খাওয়া যাবে। এ ছাড়া সুইমিং পুল, বারবিকিউ করার আলাদা জায়গা আছে এবং বাসার ওপরের অংশ ‘নো ফ্লাই জোন’। অর্থাৎ, মেসির বাসার ওপর দিয়ে বিমান যেতে পারবে না।
তিন বছর আগে আগস্টে যখন মেসির বার্সা ছাড়া নিয়ে গুঞ্জন চলছিল, তখন তাঁর বাসা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল সংবাদমাধ্যম। তখন বার্সেলোনার এল প্রাত বিমানবন্দরের রানওয়ে কেন বড় করা যাচ্ছে না, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মেসির বাসার প্রসঙ্গ টেনেছিলেন স্পেনের বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠান ভুয়েলিংয়ের প্রধান হাভিয়ের সানচেজ প্রিয়েতো।
তিনি জানিয়েছিলেন, মেসির বাসা ‘নো ফ্লাই জোন’–এর আওতাভুক্ত তাই বিমানবন্দরের সীমানা বাড়ানো সম্ভব না, ‘মেসি যেখানে বাস করে সেটা আপনি টপকে যেতে পারেন না। পৃথিবীর কোথাও এটা হয় না।’