প্রশ্ন শুনে ‘থ্যাংক ইউ’ বলে চলে গেলেন সালাউদ্দিন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা নিষিদ্ধ করার ঘটনাটি দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক কি না? প্রশ্নটা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শুনলেন ঠিকই, কিন্তু উত্তর দিলেন না। শুধু বললেন, ‘থ্যাংক ইউ’। তারপর তড়িঘড়ি করে বিদায় নিলেন সংবাদ সম্মেলনকক্ষ থেকে।
ঘটনাটি আজ বিকেলের। আবু নাঈম সোহাগকে শুক্রবার ফিফা নিষিদ্ধ করার পর সে বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন সালাউদ্দিন। তবে প্রশ্ন করার সুযোগ খুব একটা দিলেন না তিনি। শুরুতেই নিজে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। সালাউদ্দিন তাঁর বক্তৃতায় বলেন, এরই মধ্যে ফিফার সিদ্ধান্ত মেনে সোহাগকে সব ধরনের ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাফুফে সভার পর।
সে সভা কখন হবে, তা জানাতে গিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্টদের মধ্যে দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে আছেন। তাই আমি বৈঠক ডাকতে পারিনি। ওনারা কাল–পরশু দেশে এসে পৌঁছাবেন। সকালে এসে পৌঁছালে পরশু দিন আমরা বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেব। এরপর আপনাদের জানিয়ে দেব পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।’
সালাউদ্দিনের বক্তৃতা শেষে প্রথম প্রশ্ন করা হয়, সোহাগের বিরুদ্ধে যে ফিফায় তদন্ত চলছে, সেটা তিনি জানতেন কি না? বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘ওরা যখন জুরিখে গেল, তখন জানি যে একটা কিছু চলছে। কিন্তু আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ জানায়নি। আমি ওয়েবসাইটে দেখেছি এবং ধরে নিয়েছি এটাই অফিশিয়াল।’
ফিফার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য বিস্ময় হয়ে এসেছে কি না, এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘হ্যাঁ এবং না। যখন এথিকস কমিটি এটার পেছনে লেগেছে, তারা এটা নিয়ে কিছু করতই। এটা নিয়ে আমি সোহাগের সঙ্গে কথা বলেছি গতকাল রাতে। সে আমাকে বলেছে, এথিকস কমিটির যে সিদ্ধান্ত, সেটা তার ওপর অবিচার করা হয়েছে বলে সে (সোহাগ) মনে করে। এবং এটা নিয়ে কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’
ফিফার ৫১ পাতার প্রতিবেদন এখনো পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তবে তিনি দাবি করলেন, ফিফা আর্থিক অনিয়মের কথা কিছু লেখেনি প্রতিবেদনে, ‘ওরা কিন্তু বলে নাই আর্থিক অনিয়ম। ফিফার রিপোর্টে আর্থিক অনিয়ম বলা হয়নি। ওরা কোড অব এথিকস এবং রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বলেছে। যা–ই বলা হয়েছে সবই এখানে আসবে, এখানে লুকানোর কিছু নাই। তবে কিছু বলার আগে আমার সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার সব ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র মেম্বারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত যেটা হবে সেটাই আমি সবাইকে জানাব।’
এর আগে গতকাল ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোহাগকে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ফিফার তহবিলের অপব্যবহারের কারণে সোহাগকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার তহবিলের খরচের হিসাব দিতে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ) জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে।