চ্যাম্পিয়নস লিগে নিষিদ্ধ হলে উয়েফার কাছে ১০ কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণ চাইবে বার্সা
রেফারিকে টাকা দেওয়ার ঘটনায় বেশ বিপাকেই আছে বার্সেলোনা। একদিকে বার্সেলোনার আদালতে এ নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে উয়েফাও ক্লাবটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এমনকি তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বার্সাকে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে নিষিদ্ধও করতে পারে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
যদি এমনটা হয়, সে জন্য বার্সা অবশ্য ভিন্ন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো বলছে, বার্সাকে যদি ইউরোপের শীর্ষ স্তরের প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে তারা উয়েফার কাছ থকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো বা ১০ কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করবে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, বার্সা এ অর্থ দাবি করবে উয়েফার প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ার কারণে স্পনসর কিংবা মার্চেন্ডাইজিংয়ে ক্লাবটির যে ক্ষতি হবে, সেটি পুষিয়ে নিতে।
এর আগে বার্সার বিরুদ্ধে রেফারিকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগকে আমলে নিয়ে নিজেদের মতো করে পৃথক তদন্ত শুরু করে উয়েফা। এরপর বার্সা অবশ্য এ তদন্তে সংস্থাটিকে পুরোপুরি সহায়তা করার ঘোষণা দেয়। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, এরই মধ্যে উয়েফার তদন্তকারী দল বার্সার অফিস ঘুরে গেছে। আর এখন বার্সেলোনার আদালত রায় দেওয়ার আগে উয়েফা যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সাকে ছাঁটাই করে, তবে সংগঠনটিকে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে।
বার্সা চাইলে আদালতে গিয়েই এ ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে। প্রথমত, ক্লাবের ক্ষতির জন্য এবং দ্বিতীয়ত, অর্থ আর তাদের পরিশোধ করা হবে না, সে জন্য বার্সা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে। আর উয়েফার নিয়মেই বলা আছে, তারা সক্রিয় কোনো আইনি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যেতে পারবে না।
তাই ক্ষতিপূরণের ঝামেলা এড়াতে চাইলে বার্সার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে উয়েফাকে অন্তত বার্সেলোনার আদালতের রায় দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এখন পর্যন্ত অবশ্য এটা স্পষ্ট না যে উয়েফা নিজেদের নিয়ম ভঙ্গ করে বার্সাকে আগাম কোনো শাস্তি দেবে কি না। তবে আইনের এ সুযোগ নিতে প্রস্তুত বার্সা কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেছেন, তারা এখন আর রক্ষণাত্মক কৌশলে এগোবে না, বরং আক্রমণাত্মক কৌশলে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।
উল্লেখ্য, বার্সার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রেফারি মারিয়া এনরিকজ নেগ্রেরিয়ার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে ৮৪ লাখ ইউরো প্রদান করেছে। পাশাপাশি বার্সার সাবেক দুই সভাপতি বার্তোমেউ ও সান্দ্রো রোসেল এবং নেগ্রেরিয়ার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’, ‘বিশ্বাসভঙ্গ’ ও ‘ভুয়া ব্যবসায়িক রেকর্ড’ রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে।