নিষেধাজ্ঞা শেষে মেসিকে খেলাতে চান পিএসজি কোচ
লিওনেল মেসির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই সপ্তাহ। কিন্তু এটির প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ফরাসি ক্লাবটি মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে। এর অর্থ, মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কের বাঁধনই ছিঁড়ে গেছে। পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের অবশ্য এখনো মেসিকে খেলানোর অপেক্ষায় আছেন। তিনি চান, দুই সপ্তাহ পর মেসির নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে বাকি ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টাইন তারকা মাঠে নামুন। অন্তত জুনে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত মেসি যেন পিএসজিকে তাঁর সেবা দিয়ে যান।
আরএমসি স্পোর্টকে গালতিয়ের নিজের ভাবনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও পিএসজি কোচের কোনো মন্তব্য তারা দিতে পারেনি। এর আগে ফরাসি পত্রিকা লা পারিসিয়েন জানিয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মৌসুমের বাকি অংশে মেসির খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আরএমসি স্পোর্টের তথ্যানুযায়ী, গালতিয়ের এ ব্যাপারে মেসির সঙ্গে বসে কথা বলবেন। মেসি যদি খেলার ব্যাপারে রাজি না থাকেন, তাহলে তাঁকে রাজি করার চেষ্টা করবেন। তবে মেসিকে তিনি রাজি করাতে পারবেন কি না, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে। কিছুদিন ধরেই মেসি নতুন ক্লাবের সন্ধানে আছেন। নিষেধাজ্ঞার পর এ চেষ্টা আরও বেড়েছে। তাঁর সৌদি আরব সফরের নেপথ্যে যে সেখানে বাস করার সুযোগ-সুবিধার সন্ধান ছিল, এ ব্যাপারে খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
পিএসজির এ নিষেধাজ্ঞায় মেসির কিছু আসে-যায় না বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত ফিফার এজেন্ট মার্কো কির্দেমির সেটিই বলেছেন। পিএসজির চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি ও সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা এই এজেন্টের দাবি, মেসি আসলে সপরিবার সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তাঁর থাকার জায়গা দেখতে।
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের কাছ থেকে ৬০ কোটি ডলারের একটি প্রস্তাব আছে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হবেন বিশ্বের খেলাধুলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ। তবে মেসির জন্য আছে তাঁর পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনায় ফেরার হাতছানিও। কিন্তু বার্সার আর্থিক অবস্থা বিচার করে মেসির ক্যাম্প ন্যুতে ফেরাটা কঠিনই। এদিকে মার্কো কির্দেমিরের দাবি, মেসি মোটেও খেলোয়াড় হিসেবে বার্সেলোনায় ফিরবেন না। তিনি বার্সেলোনায় ফিরবেন, তবে সেটি ফুটবল ছাড়ার পর অবসর জীবন কাটানোর জন্য।