৯০ মিনিট গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। কিন্তু আগেই ঠিক করা হয়েছিল, জয়-পরাজয় হতেই হবে। তা প্রীতি সিরিজ হোক, তাতে কী!
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে নির্ধারিত হলো বাংলাদেশ ও নেপাল নারী ফুটবল দলের দুই ম্যাচের সিরিজ। তাতে ১-০ ব্যবধানে জয়ী নেপাল। ১৩ জুলাই প্রথম ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় সিরিজ নির্ধারণে টাইব্রেকারের আশ্রয় নিতে হয়েছে।
টাইব্রেকারে বাংলাদেশের হারের কারণ, দুর্বল শট। চারটি শট নিয়ে বাংলাদেশ ২ গোল করেছে, নেপাল পাঁচ শটে ৪ গোল।
টাইব্রেকারে নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি টাইব্রেকারের শুরুতেই করেন ১-০। এরপর বাংলাদেশের শামসুন্নাহার সিনিয়রের গোলে ১-১। নেপালের হিরা কুমারীর গোলে হয়েছে ২-১। কিন্তু বাংলাদেশের শিউলি আজিমের শট আটকে দেন নেপালের গোলকিপার আনজিয়া তুম্বাপো।
নেপালের পরের শটটা লেগেছে পোস্টে। মারিয়া মান্দার শটও লাগে পোস্টে। চতুর্থ শটে নেপাল গোল করেছে। বাংলাদেশের চতুর্থ শটে গোল করেন মনিকা। স্কোরলাইন হয় ৩-২। পঞ্চম শটে নেপালের আনিকা গোল করলে বাংলাদেশকে আর শট নিতে হয়নি।
এই জয়ে নেপালের পুরোনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ হতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সেই হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিল নেপাল। অবশেষে সেই সুযোগ আজ তারা পেয়েছে কমলাপুর স্টেডিয়ামে।
দুই ম্যাচের এই প্রীতি সিরিজের দুটি ম্যাচ এমনিতে ড্র। কিন্তু জয়ী দল বেছে নিতে টাইব্রেকার হবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল আগেই। এটি ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ নারী দলের ৫০তম ম্যাচ। আগের দিন সাবিনা খাতুন বলেছিলেন, সিরিজ জিততে আরও ভালো ফুটবল খেলতে চান।
কিন্তু প্রথম ম্যাচের তুলনায় আজকের বাংলাদেশকে কিছুটা ম্রিয়মাণ লেগেছে। শুরুতে সাবিনার একটা ফ্রি–কিক লাগে নেপালের ক্রসবারে। এ ছাড়া বলার মতো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। নেপাল প্রথম ম্যাচের চেয়ে তুলনামূলক ভালো খেললেও গোলের পরিষ্কার সুযোগ তারাও পায়নি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে হারের হতাশায় ডুবেছেন সাবিনা, মারিয়ারা। বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে যাচ্ছেন নেপালের মেয়েরা।