একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ও স্বপ্নকে সঙ্গী করে গতকাল বিশ্বকাপের দেশ কাতারে পা রেখেছেন লিওনেল মেসিরা। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের স্বপ্নে সবচেয়ে বড় হুমকি এখন চোট। তবে আর্জেন্টিনা দলে বিকল্প খেলোয়াড়েরও অভাব নেই। ছোটখাটো এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে মেসির নেতৃত্বে দলটি দারুণ কিছু করে দেখাবে বলেই বিশ্বাস আর্জেন্টাইন সমর্থকদের।
দলের সাবেক তারকা সের্হিও আগুয়েরোও বিশ্বাস করেন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করে দেখাবে। এমনকি মেসি শতভাগ না দিলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন এই ম্যানচেস্টার সিটি কিংবদন্তি।
মেসিকে ঘিরেই এখন তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বুনছে আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা। মেসির কাঁধে ভর করেই ৩৬ বছর ধরে বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ ভুলতে চান তাঁরা। আগুয়েরোও মনে করেন মেসি দারুণ কিছু করবেন।
এমনকি মেসির শতভাগ না পেলেও আর্জেন্টিনা ভালো কিছু করবে বলে মন্তব্য করেছেন আগুয়েরো, ‘ধীরে ধীরে এই দলের সঙ্গে মেসি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। মেসি যদি শতভাগ খেলতে পারে, সেটা (প্রতিপক্ষের জন্য) বিধ্বংসী ব্যাপার হবে। তবে মেসি ৬০-৭০ শতাংশ খেলতে পারলেও সেটাও আর্জেন্টিনার জন্য কার্যকর হবে। কারণ, দল তাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে। যেটা আগে খুব বেশি দেখা যায়নি। এই দল দারুণভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছে। তাই তাকে সব সময় শতভাগ না দিলেও চলবে।’
বিশ্বকাপে মেসির সতীর্থ হয়েই থাকার কথা ছিল আগুয়েরোর। কিন্তু হৃদ্রোগ কেড়ে নিয়েছে এই ফুটবলারের স্বপ্ন। গত বছর হৃদ্রোগ ধরা পড়ায় অকালেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি ও বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড। এই বিশ্বকাপ দিয়ে আরও অনেক তারকার বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হবে। যেখানে সম্ভাব্য তালিকায় আছেন মেসিও। তাই কাতারেই মেসির হাতে কাপ দেখতে উন্মুখ তাঁর ভক্ত আর আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা।
একই স্বপ্ন বোনা আগুয়েরো বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপ অনেক খেলোয়াড়ের জন্য শেষ বিশ্বকাপ। যেখানে মেসিও আছেন। মানুষের অনেক প্রত্যাশা। তবে সর্বোচ্চ চাওয়া হচ্ছে কাপটা নিয়ে আসা। লিও (মেসি) আমাদের রোমাঞ্চিত করছে।’
বিশ্বকাপে কোন কৌশলে আর্জেন্টিনা খেলতে পারে, তা নিয়েও কথা বলেছেন আগুয়েরো। তাঁর কথা, ‘আর্জেন্টিনা সব সময় বল দখলে রেখে খেলা দল ছিল। তবে এখন এটি এমন দল, যারা খুব বেশি আক্রমণে যায় না। স্কালোনি সব কিছু বদলে দিয়েছে। আর্জেন্টিনা দলে এখন ভালো খেলোয়াড় আছে। খেলোয়াড়েরা এখন খুব বেশি বল ধরে রাখে না, যখন রাখে তখন প্রতিপক্ষকে ভালোই বিপদে ফেলতে পারে।’
দল কীভাবে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আগুয়েরো বলেছেন, ‘কোচ চারজনের একটি লাইন তৈরি করেন, যারা সামান্যই ওপরে ওঠে। এটা মেসিকে সাহায্য করে। কারণ, দলের রক্ষণ খুব ভালো অবস্থায় থাকে। তারা একে অপরকে সহায়তা করে। এই দলে সম্ভবত ১১ জন বিধ্বংসী খেলোয়াড় নেই। তবে সহায়তা করতে পারে, এমন কিছু বেশ ভালো খেলোয়াড় আছে।’