মেসি আসলে চোট কাটিয়ে কবে ফিরবেন
লিওনেল মেসি ও চোট যেন এখন সমার্থক শব্দ। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকেই মূলত শুরু হয় মেসির চোটে পড়ার ধারা। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার ফাইনালে আবার অ্যাঙ্কেলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। সেদিনের পর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন তিনি। কখন ফিরবেন, সেটিও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।
মেসিকে ছাড়া বিপাকে তাঁর ক্লাব ইন্টার মায়ামিও। মেসির হাত ধরেই গত মৌসুমে লিগস কাপের শিরোপা জিতেছিল মায়ামি। আর এবার মেসিবিহীন মায়ামি দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেছে। লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সের্হিও বুসকেতসরাও পারেননি মায়ামির বিদায় ঠেকাতে। কলম্বাসের কাছে শুরুতে ২–০ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩–২ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় তারা। দলের এমন বিদায়ের পর সমর্থকদের চোখ এখন মেসির ফেরার দিকে।
মেসির চোট নিয়ে শুরু থেকেই একধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। সে সময় এক বিবৃতিতে মায়ামি জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে গেছেন মেসি। এরপর মেসির সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল বলেন, মেসির ফেরার তারিখ জানেন না তাঁরাও।
পরবর্তী সময়ে লুইস সুয়ারেজ দ্রুত মেসির ফেরার কথা বললেও নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ জানাতে পারেননি। এরই মধ্যে অবশ্য মেসির চোটে পড়ার সময় এক মাস পেরিয়ে গেছে; কিন্তু এখনো মাঠে ফেরা হয়নি তাঁর। যেটা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ভক্ত–সমর্থকদেরও।
মেসির চোট নিয়ে সর্বশেষ মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো বলেছেন, ‘লিওর (মেসি) উন্নতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে। কিন্তু কখন সে দলের যোগ দেবে, তার এখনই নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলা যাচ্ছে না। সে আলাদাভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
মার্তিনোর এ বক্তব্যের পর মেসির ফেরা নিয়ে শঙ্কা আরও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে এক পডকাস্টে কথা বলেছেন মায়ামি হেরাল্ডের প্রতিবেদক মিশেলে কাউফম্যান।
তিনি বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ পর, ২৪ তারিখ তারা পরের ম্যাচটি খেলবে। কিন্তু মেসি এখনো মাঠে আসেনি। এখনো সে নিজে নিজে জিমে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে টাটা (মার্তিনো) বলেছিল আগস্ট শেষ হওয়ার আগেই তারা মেসিকে স্কোয়াডে পাবে। কিন্তু কলম্বাস ম্যাচের আগের দিন তার কথা বদলে যায়। তিনি বলেন, “মেসির ফেরার তারিখ আমরা বলতে পারছি না।” তার কথার এই পরিবর্তন নেতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে।’