রিয়াল মাদ্রিদ ৫-২ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
ম্যাচের এক ঘন্টা পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর বাকি সময়ে ৫ গোল করে ৫-২ ব্যবধানে জয়! দুর্দান্ত ও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন তো বটেই। তবে টুর্নামেন্টের নাম যদি হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ, আর জয়ী দলটার নাম যদি হয় রিয়াল মাদ্রিদ, তাহলে এতটা অবিশ্বাস্য লাগতে নাও পারে। এটা তো রিয়ালের এক রকম অভ্যাসই বলা যায়। যত গোলেই পিছিয়ে থাকুক, শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত রিয়ালকে বাতিল করে দেওয়া যায় না। ইউরোপের অনেক বড় দলেরই আগে রিয়ালের বিপক্ষে এ রকম হারের অভিজ্ঞতা হয়েছে, এবার হলো বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ রিয়ালের জালে ৩৪ মিনিটের মধ্যে ২ গোল দেওয়া ডর্টমুন্ড ম্যাচের শেষ আধঘন্টায় নিজেরাই খেয়েছে ৫টা! দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। একটা করে গোল আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেজের। ম্যাচের ৬০ মিনিট থেকে যোগ হওয়ার সময়ের তৃতীয় মিনিট, এই ৩৩ মিনিটেই ৫টি গোল করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
লন্ডনের ওয়েম্বলিতে হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ আজ আরও একবার মুখোমুখি হয়েছিল বার্নাব্যুতে, এটা অবশ্য প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ। ফাইনালে হারের বদলা তো আর প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে হয় না। তারপরও ডর্টমুন্ড নিশ্চয়ই চেয়েছিল এ ম্যাচে রিয়ালকে হারিয়ে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে। হলো অবশ্য উল্টোটা। ওয়েম্বলিতে ২-০ গোলে হারা ডর্টমুন্ড এই ম্যাচ থেকে সান্ত্বনা নয়, ফিরল আরও হতাশা নিয়ে।
এবারের ব্যালন ডি’অরের ‘হট ফেবারিট’ ভিনিই আসলে রিয়ালের দুর্দান্ত এই প্রত্যাবর্তনের মূল নায়ক। যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা হয়েছিল রুডিগারের গোলে, ম্যাচের ৬০ মিনিটে। ৩০ মিনিটে ডনিয়েল ম্যালেন এবং ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে ডর্টমুন্ড তখনো ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
পিছিয়ে পড়ে রিয়াল একের পর এক আক্রমনে অস্থির করে তোলে ডর্টমুন্ডের রক্ষনকে। তবে প্রথম ফলটা পায় কিলিয়ান এমবাপ্পে-রুডিগারের যুগলবন্দীতে। এমবাপ্পের ক্রসে হেড করে ব্যবধান কমান রুডিগার। এর মিনিট দুয়েক পরেই ভিনি করেন সমতা ফেরানো গোলটা। শুরুতে রেফারি অফসাইড দেখিয়ে সেটা বাতিল করে দিলেও পরে ভিএআরে আসে গোলের সিদ্ধান্ত।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট বাকি থাকতে লুকাস ভাসকেজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। বাকিটা একেবারেই ‘ভিনি-শো’। ৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন ভিনিসিয়ুস, নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ডর্টমুন্ডের অর্ধে, শেষে বক্সের বাইরে থেকে তাঁর অসাধারণ শট যায় জালে। কিন্তু ভিনি থামেননি সেখানেই, যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটে পেয়ে যান হ্যাটট্রিকও। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ভিনির তৃতীয় হ্যাটট্রিক, তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম।
একই রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্টুর্টগার্ট, পিছিয়ে পড়ে পিএসজি ১-১ ড্র করেছে আইন্দহোফেনের সঙ্গে, আর্সেনাল ১-০ গোলে জিতেছে শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে, বোলোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।