মৌসুম শুরুর আগে প্রাক্–মৌসুম সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়ে থাকে দলগুলো। খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও দলের মধ্যে সমন্বয় ঝালিয়ে নিতে এ সফরের অসীম গুরুত্ব। বিশেষ করে বিরতি ও অবকাশ কাটিয়ে ফেরার পর খেলোয়াড়দের নিজেদের চাঙা করতে এ সফরগুলো ভালো ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি দলে আসা নতুন খেলোয়াড়েরাও এ সফর দিয়ে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন।
এসবের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে একজন খেলোয়াড়ের অবস্থান বুঝতেও এ প্রাক্–মৌসুম সফরের ম্যাচগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর খেলোয়াড়েরাও নিজেদের জায়গা সুনিশ্চিত করতে এই ম্যাচগুলোকে পাখির চোখ করেন। এবারের প্রাক্–মৌসুম সফরেও দলগুলো এই প্রক্রিয়াতেই এগিয়েছে।
তবে এবার পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন ছিল। ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষ করেই ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে ইউরো ও কোপা আমেরিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। যে কারণে অনেকেই ক্লাবে যোগ দিয়েছেন দেরিতে। ফলে ক্লাবকে পুরোপুরি সময়ও দেওয়া হয়নি তাঁদের।
এর মধ্যেও প্রিমিয়ার লিগের যেসব খেলোয়াড় প্রাক্–মৌসুমে আলো ছড়িয়েছেন, নিউক্যাসলের জ্যাকব মারফি তাদের মধ্যে সবার ওপরে। প্রাক্–মৌসুমে ৩২৫ মিনিট মাঠে থেকে ৫ গোলের পাশাপাশি ৩টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই ইংলিশ। প্রাক্–মৌসুম সফরে ২৯ বছর বয়সী মারফির ওপর অবশ্য খুব বেশি আলো ছিল না। সব আলো ছিল আলেক্সান্দার ইসাকের ওপর। কিন্তু গত মৌসুমে চোটের কারণে ১৭ ম্যাচ মিস করা মারফিই দারুণভাবে চিনিয়েছেন নিজেকে।
প্রাক্–মৌসুমে গোল ও অবদানে এগিয়ে যাঁরা (প্রিমিয়ার লিগ)
৩ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট নিয়ে এই তালিকার ২ নম্বরে আছে টটেনহামের দেজান কুলুসেভস্কি। দারুণ ছন্দে থাকা কুলুসেভস্কিকে নিয়ে আগামী মৌসুমে স্পার্সরা আশাবাদী হতেই পারেন। এই তালিকার তিনে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির অস্কার বব। উদীয়মান এই তরুণকে ভাবা হচ্ছে আগামী দিনের তারকা। যার প্রমাণ প্রাক্–মৌসুমে দারুণভাবে রাখলেন বব। ২ গোলের সঙ্গে করেছেন ৪টি অ্যাসিস্ট।
ববের সতীর্থ আর্লিং হলান্ড আছেন এই তালিকার চারে। শুধু গোল হিসাব করলে হলান্ড অবশ্য সবার ওপরে থাকবেন। মারফির সমান ৫ গোল করলেও কোনো অ্যাসিস্ট করতে পারেননি নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার। এ তালিকার পাঁচে আছেন এবারের দলবদলে ফেইনুর্দ থেকে ব্রাইটনে আসা ২০ বছর বয়সী ইয়ানকুবা মিনতেহ। প্রাক্–মৌসুমে ৩ গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করেছেন গাম্বিয়ান এই উইঙ্গার।