বিশ্বকাপ পর্যন্ত এভাবেই খেলে যেতে চান মেসি
কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসও বাকি নেই। বিশ্বকাপের আগে শেষ দফার ম্যাচ-প্রস্তুতিতে এখন আর্জেন্টিনা, যার প্রথমটি হয়ে গেছে আজ হন্ডুরাসের বিপক্ষে।
৩-০ ব্যবধানে পাওয়া সহজ জয়ে জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি, লওতারো মার্তিনেজের করা অপর গোলটিতেও রেখেছেন অবদান। বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টাইন তারকাকে এমন ছন্দে দেখে ভীষণ খুশি কোচ লিওনেল স্কালোনি।
খুশি মেসি নিজেও। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ ঘিরে নিজের ভেতর উদ্দীপনাও টের পাচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, ‘বিশ্বকাপ আসছে মানে বিপুল প্রত্যাশা, প্রবল উদ্দীপনা আর দুশ্চিন্তা আছে। তবে একই সঙ্গে এটি শান্ত থাকারও সময়। এখনো কিছুটা সময় আছে। ক্লাব ফুটবলে আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেন বিশ্বকাপের আগে সঠিক জায়গায় থাকতে পারি। এটা সত্যি যে আমরা এখন সমষ্টিগত হিসেবে, জাতীয় দল হিসেবে ভালো খেলছি। বিশ্বকাপ পর্যন্ত এভাবেই খেলে যেতে চাই।’
মেসির মতো সমর্থকদেরও আশা, জয়ের ছন্দ বিশ্বকাপেও ধরে রাখবে আর্জেন্টিনা। তবে আরাধ্যের মঞ্চটি বিশ্বকাপ বলেই ধীরেসুস্থে এগোনো দরকার বলে মনে করেন মেসি, ‘আমাদের অনুভূতি আর তাঁদের (সমর্থক) অনুভূতি একই। তবে ওই যে বললাম, শান্তও থাকতে হবে। যদিও আমাদের ভালো একটা দল আছে, কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিশ্বকাপ সব সময়ই বিশেষ কিছু; এখানে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।’
গত বছর বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর প্রথম মৌসুমটা ভালো যায়নি মেসির। ৩৪ ম্যাচ খেলে মোটে ১১ গোল করতে পেরেছিলেন। নতুন মৌসুমে ১১ ম্যাচ খেলেই ৬ গোল করে ফেলেছেন। ছন্দে আছেন জাতীয় দলের জার্সিতেও। জুনে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ৫ গোলের পর এবার হন্ডুরাসের বিপক্ষে করলেন ২ গোল।
নতুন বছরে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারটি মেসিও অনুভব করছেন, ‘গত বছরের তুলনায় ভালো লাগছে। জানতাম এ রকমই ঘটবে। এর মধ্যে বলেছিও, গত বছরটা আমার বাজে গেছে। তবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার পথটা আমি হারিয়ে ফেলিনি। এ বছর ভিন্নভাবে ফিরেছি। ক্লাবে, লকার রুমে, খেলার মধ্যে, সতীর্থদের সঙ্গে আরও মানিয়ে নিয়েছি। আসলেই আমার এখন ভালো লাগছে। নিজেকে আবার উপভোগ করতে পারছি।’
নিজের পাশাপাশি দলগত অভিজ্ঞতাও উপভোগ করছেন মেসি। হন্ডুরাস ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সে কথাই বলছিলেন, ‘একসঙ্গে থাকা প্রতিটি মুহূর্তই আমরা উপভোগ করি। আবার কাজের সময়ে গুরুত্ব দিয়েই অনুশীলন করি। (বিশ্বকাপের আগে) এটিই আমাদের একসঙ্গে কাটানো শেষ সময়। প্রথম ম্যাচের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। যে কারণে নিজেদের আরও গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগটি আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’
মেসি কথা বলেছেন আর্জেন্টিনা দলে জায়গা পাওয়া দুই তরুণ থিয়াগো আলমাদা ও এনজো ফার্ন এনদেজকে নিয়েও, ‘ওদের আমি আগে থেকেই চিনি। আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করেছে। থিয়াগো খুবই গতিসম্পন্ন খেলোয়াড়। যেসব খেলোয়াড় খুব ক্ষতিকর ধরনের হয়, তাদের বিপক্ষে এই গতি কাজে লাগে। কোনো পরিস্থিতিতে ভয়ও পায় না। আর এনজো হচ্ছে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ, বুদ্ধিমান। দুজনই দেখার মতো খেলোয়াড়।’
হন্ডুরাসের পর মেসিদের পরবর্তী ম্যাচ জ্যামাইকার বিপক্ষে, ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায়।